পশ্চিম বর্ধমান: প্রায় ১৪ ঘণ্টা পার, এখনও রানিগঞ্জ-আসানসোলে আয়কর অভিযান (IT Raid)। রানিগঞ্জে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে আইটি তল্লাশি। আসানসোলে ছাঁট লোহার কারবারি মহম্মদ ইমতিয়াজের বাড়িতেও অভিযান। ইসকোর ছাঁট লোহার কারবারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে আয়কর-হানা। আসানসোল-দুর্গাপুর-রানিগঞ্জের অন্তত ৬ জায়গায় সকাল থেকে তল্লাশি। আসানসোল মহিন্দর শর্মা, সুরেন্দর শর্মা নামে ২ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি, কর ফাঁকির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তল্লাশি।


একযোগে তল্লাশি


সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও বাংলাজুড়ে আয়কর (income tax ) তল্লাশি ঘিরেও উত্তাল রাজনীতি। ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাউয়ের  ( Rajya Sabha MP Dhiraj Sahu ) রাঁচির প্রাসাদোপম বাড়ি, অফিস, কারখানা-সহ একযোগে ৯টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। নোটের পাহাড় ক্রমেই উঁচু হয়ে ওঠে। এক দফায় আয়কর হানায় এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাউয়ের মালিকানাধীন বলদেব সাউ গ্রুপ অফ কোম্পানিজ, বুদ্ধ ডিস্টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড, এবং বুদ্ধ দিয়া ডিস্টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস ও কারখানায় হানা দেন আয়কর দফতরের অফিসাররা। কালো টাকার খোঁজে কলকাতাতেও শুরু হয় তল্লাশি।


কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও পড়ুন, ICCU থেকে কেবিনে ফিরলেন 'কালীঘাটের কাকু' , এবারই কি কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে ED ?

 কংগ্রেস সাংসদের অফিস ও কারখানা থেকে এই বান্ডিল বান্ডিল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটকে একযোগে আক্রমণ করেছে বিজেপি। অস্বস্তি এড়াতে এই ঘটনায় দলীয় যোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। আয়কর দফতরের তল্লাশিতে বান্ডিল বান্ডিল নগদ উদ্ধার নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, 'এত টাকা আপনারা কেউ কখনও দেখেননি। ব্যাঙ্কের কর্মীরাই দেখেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদিজির নেতৃত্বে ব্য়বস্থা হবে।' কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, সাংসদ ধীরজ সাহুর ব্য়বসার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁর ঠিকানায় যে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে আয়কর আধিকারিকরা দাবি করেছেন, তা কোথা থেকে এল, তা কোথা থেকে এল, সেটা তিনি বলতে পারবেন এবং এই বিষয়টি তাঁর স্পষ্ট করা উচিত। সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে রিপোর্ট চেয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য়ের বিবিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।