পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরের সভাতেই মিঠুনের (Mithun Chakraborty) কাছে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা (BJP Leader)। মিঠুনের সামনেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কর্মীরা। দলে থেকেও অনেকে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও অভিযোগ। ভোটের পর নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই পাশে না থাকার অভিযোগ কর্মীদের। জেলা সভাপতিকে মঞ্চে ডেকে কর্মীর পাশে থাকার নির্দেশ মিঠুনের।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার মহাজোটের সওয়াল মিঠুনের, ‘তৃণমূল যখন সরকারে এসেছে, তখন সবাই সিপিএমকে হারাতে একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস, তৃণমূল, এমনকি অস্বীকার করে লাভ নেই বিজেপিও সমর্থন দিয়েছিল। এখন এমন একটা শক্তিকে হারাতে গেলে, সবার একসঙ্গে আসা উচিত। মতাদর্শগতভাবে আমরা আলাদা হতে পারি, থাক সেই জায়গাটা। আমাদের সবাইকে অবশ্যই একজোট হতে হবে', সুকান্তকে পাশে বসিয়ে বার্তা মিঠুনের। প্রসঙ্গত, এবিপি আনন্দকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে  ফের মিঠুন দাবি করেন, '২১ জন নন, বরং তার থেকেও বেশি তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন মিঠুনের সঙ্গে। এঁরা কারা ? কী তাঁদের নাম ? মিঠুনের জবাব, তিনি চাইলেই নাম বলতে পারেন। তাঁর যথাযোগ্য  প্রমাণও রয়েছে।  'আমি ব্যাক আপ ছাড়া কথা বলি না... তাঁরা আছেন, স্ট্রংলি আছেন '। তবে, তাঁদের নাম তিনি আপাতত সামনে আনবেন না। কারণ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে। মিঠুনের কথায়, এতে তাঁদের বিপদ বাড়তে পারে, প্রাণশঙ্কাও হতে পারে। '

বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার পর বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক সভা করেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। বিকেলে মেজিয়া কলেজ মাঠের সভায় শোনেন স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের অভাব অভিযোগের কথা।সভা থেকে তিনি প্রশ্ন তোলেন , ' কী পাওনি বল। ঘর পাওনি? ঘর পাবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সবাই ঘর পাবে। পয়সা স্থগিত করা হয়েছে, আটকে রাখা হয়নি। ...তুমি কি তৃণমূলের কোনও মামি, কাকি, কেউ নয়? তাহলে তো মুশকিল আছে। ঘর পেতে গেলে আগে তৃণমূলের মামি, কাকি, মাসি, ভাইপো, ভাইঝি হতে হবে। ...এই পঞ্চায়েতে যদি তৃণমূলের জায়গায় বিজেপি আসে, তাহলে প্রথম ঘর তোমার। ' 

আরও পড়ুন, 'মানুষের মধ্যে বিভেদ করতে চাইছে', সিএএ ইস্যুতে শুভেন্দুকে তোপ শমীক লাহিড়ির

মিঠুনের মহাজোটের বার্তার পর তোপ শমীক লাহিড়ির (Samik Lahiri)। এদিন মিঠুনের বক্তব্যের পর শমীক লাহিড়ি বলেন, 'উনি অত্যন্ত ভাল অভিনেতা। ওটাই করুন না। এর আগে তো তৃণমূলে গিয়ে, সাংসদ হয়েছিলেন, দেখলেন না পরিণতিটা কী হল ! এখন আবার বিজেপিতে গিয়ে এসব শুরু করেছেন। তার চাইতে যেটা উনি অসম্ভব ভালো জানেন, গোটা ভারতবর্ষের লোক যে কারণে ওকে মানেন, সেই কাজটার মধ্যেই নিজে থাকুন। রাজনীতিটা করতে গিয়ে , একবার বিপদে পড়ে, ওনার মনে হচ্ছে, শিক্ষা হয়নি !'