কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি: ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে বরখাস্ত হওয়া ইসিএল কর্মীকে (ECL Worker) খুনের (Murder) কিনারা। মৃতের স্ত্রী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃত্যুকালীন সুবিধা ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যেই সুপারি কিলার দিয়ে খুন করায় স্ত্রী, দাবি পুলিশের।


বুধবার গুলি করে খুন করা হয় বরখাস্ত হওয়া ইসিএল কর্মীকে। কেন খুন হতে হল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির বাসিন্দা পরেশ মান্ডিকে? পুলিশের দাবি, বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না প্রাক্তন ইসিএল কর্মী। মৃত্যুকালীন সুবিধা ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা পেতে স্বামীকে খুনের ছক কষেন স্ত্রী। খুনের জন্য আড়াই লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়। বিহার থেকে আনা হয় ভাড়াটে খুনিকে। ষড়যন্ত্রকারীরা ধরা পড়লেও, এখনও অধরা সুপারি কিলার। 


বুধবার সকালে রাস্তার ধারে একটি ছাউনিতে পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন পরেশ মারান্ডি। খুনের তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্য হাতে আসে পুলিশের। সূত্রের খবর, পরিকল্পনামাফিক মুঙ্গেরের বাসিন্দা সুপারি কিলার হিমাংশু পাসোয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ষড়যন্ত্রকারীরা। খুনের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা রফার পর, অগ্রীম ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয় সুপারি কিলারকে। দিনকয়েক আগে ট্রেনে করে কুলটিতে আসে আততায়ী। এরপর শুরু হয় পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ। পুলিশ সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার বিকেলে প্রথমবার খুনের টার্গেট করা হয় পরেশকে। কিন্তু সেসময় তা ভেস্তে যাওয়ায়, তখনই বেছে নেওয়া হয় বুধবারের সকাল। 


ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা। বাজার থেকে মাংস কিনে, বাড়িতে রান্না করতে দিয়ে সবেমাত্র পরিচিতদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন কুলটির তুলসীহিড় এলাকার বাসিন্দা পরেশ মান্ডি। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তার ধারে ছাউনিতে বসে থাকার সময় আচমকা জনা কয়েক দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয়। তাদের মধ্যে একজন খুব কাছ থেকে পরেশ মান্ডিকে পরপর তিনটি গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহতের গলার নীচে ও বুকে ৩টি ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। 


আরও পড়ুন: Bankura News: হাতি দেখতে গিয়ে বিপত্তি, শুঁড়ে পেঁচিয়ে সপাটে আছাড় দাঁতালের, উৎসাহী ব্যক্তি হাসপাতালে