মনোজ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাঁকসা: পশ্চিম বর্ধমানের (West Burdwan) কাঁকসায় ৩ ব্যক্তির দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। কাঁকসা (Kanksa) রেল পার সারদা পল্লির ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ওই তিনজনকে খুন করা হয়েছে। ৩ ব্যক্তির রহস্যমৃত্যুর তদন্ত করছে কাঁকসা থানার পুলিশ। 


দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য: কাঁকসায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। একই পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে খুন। পাশাপাশি ২ টি ঘর থেকে উদ্ধার হল দিদা ও নাতনির মৃতদেহ। বাথরুমের মধ্য়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার নাতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার সারদা পল্লির এই বাড়ির মালিক ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা। পেশায় ব্য়বসায়ী। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি অসমে বড় মেয়ের কাছে গেছে তিনি ও তাঁর স্ত্রী। বাড়িতে ছিলেন ব্য়বসায়ীরছোট মেয়ে সিমরন বিশ্বকর্মা (২৩), সিমরনের দিদা সীতা দেবী (৬৮) ও সিমরনের মামাতো ভাই সোনু বিশ্বকর্মা (২২)।

ঠিক কী ঘটেছিল?


মৃতের আত্মীয়দের দাবি, শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ মোটরবাইকে চেপে হেলমেট পরা এক ব্য়ক্তি বাড়িতে ঢোকে। তিনি বেরনোর খানিকক্ষণের মাথায়, তরুণীর কাকিমা বাড়িতে ঢুকে দেখেন এই দৃশ্য। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান দিদা ও নাতনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আর যুবককে মাথার পিছনে আঘাত করে খুন করা হয়। যুবকের মাথার পিছনে রয়েছে গভীর আঘাত।বাথরুমেও পড়ে রয়েছে রক্তের দাগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি মালিকের ছোট মেয়ে, সিমরনের ডিভোর্সের মামলা চলছিল। তবে কি সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই ঘটনা? প্রতিবেশীরাও আরও জানিয়েছেন, এই বাড়িতে ২ টি পোষ্য় কুকুর রয়েছে। এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ দুটো কুকুরের চিৎকারের শব্দ কেউ পায়নি। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি খুনের পিছনে পরিচিত কারও হাত? ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। এদিন এই বাড়িতে যায় ফরেন্সিক টিমও।


দিনকয়েক আগে চারু মার্কেটে বহুতলে একাকী বৃদ্ধাকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয়। লুঠ করা হয় সোনার গয়না। দুষ্কৃতী হামলায় জখম হন
সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। চারু মার্কেটের কে পি রায় লেনে বহুতলের তিনতলায় একাই থাকেন মিতা সাহা। অভিযোগ, বৃদ্ধার ছেলের গাড়ি চালক পরিচয় দিয়ে জল খাওয়ার অছিলায় ফ্ল্যাটে ঢোকে ওই দুষ্কৃতী। বৃদ্ধাকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে বলে অভিযোগ। প্রতিবেশী দেখে ফেলায় প্রাণ বেঁচে যান একাকী বৃদ্ধা, সোনাদানা লুঠ করে পালানোর সময় দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন টুম্পা মান্না নামে ওই প্রতিবেশী। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে চারু মার্কেট থানার পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Mahua Moitra Exclusive: মোদি-আদানির ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কোপে পড়েছি: মহুয়া মৈত্র