আশাবুল হোসেন, কলকাতা: মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। যা নিয়ে এবার পাল্টা সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ। 'মোদি-আদানির ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কোপে পড়েছি। অনৈতিকভাবে এথিক্স কমিটি আমাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে।'
পাল্টা সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ: টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলের অভিযোগে লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে সংসদের নীতি কমিটি। তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করতে লোকসভার সাংসদ ওম বিড়লার কাছে সুপারিশপত্র জমা পড়ার কথা। নীতি কমিটির বৈঠকে ৬:৪ ভোটে মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি ওই খসড়া রিপোর্টে সিলমোহর পড়েছে বলে খবর। সাংসদের অভিযোগ, "পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'সাসপেনশনের সুপারিশ করলেও বহিষ্কারের সুপারিশ করতে পারে না এথিক্স কমিটি। কোনও প্রমাণ ছাড়াই আমাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। না।৫০০ পাতার রিপোর্টে ক্যাশের কোনও নাম গন্ধ নেই, পুরোটাই একটা মিথ্যে কথা। কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়াই আদানির হাতে সব বন্দর ও বিমানবন্দর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৪ বার কেন, ৪০ বার দুবাই যাব, ১০০ বার বিদেশ যাব, মোদির অনুমতি নিতে হবে?’’
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গতকাল নীতি কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকর বলেন, "মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করেছে নীতি কমিটি। আজকের বৈঠকে খসড়া প্রস্তুত করা হয়। ছয় সদস্য তাতে সমর্থন জানান, বিরোধিতা করেন চার সাংসদ। বিশদ রিপোর্ট আগামী কাল স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। এর পর যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, স্পিকার করবেন।"
এর আগে অবশ্য এবিপি আনন্দকে দেওয়া সংসদ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে যদিও আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মহুয়া। নীতি কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার আগে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে জানান, আদানি এবং মোদির দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। শীতকালীন অধিবেশনে হাতে আরও অস্ত্র আছে তাঁদের। সেকথা বিলক্ষণ জানে মোদি সরকার। তাই তাঁকে সংসদে ঢুকতে না দেওয়াই লক্ষ্য বিজেপি-র।
আরও পড়ুন: Plaque Controversy: ফলক-বিতর্কে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যকে পুলিশের নোটিস