মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে দুই জনকে আটক করল পুলিশ। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দলের আসার সম্ভাবনা। তীব্র সমালোচনা বিজেপির। রবিবার সন্ধ্যায় পান্ডবেশ্বরের (Pandabeswar) কুমারডিহিতে বিজেপির জেলা মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে ওঠে। লোকসভা ভোটের আগে ঠিক আগেই এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়ায় পান্ডবেশ্বরে। রাতেই অন্ডালের উখড়া ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন জিতেনবাবু।


পুলিশি পদক্ষেপ


পান্ডবেশ্বর থানার পুলিস উখড়া ফাঁড়ি এসে অভিযোগ গ্রহণ করে। ফাঁড়িতে আসেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তাও। তিনি জানান, " তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েকজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফরেন্সিক দল আসবে নমুনা সংগ্রহ করতে। তবে প্রাথমিকভাবে গাড়ির ভিতর থেকে কোনও গুলির খোল পাওয়া যায়নি।" পান্ডবেশ্বর থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতীকে আটক করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অভিযোগও আছে। তাদের জেরা করা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও থানা সূত্রে জানা গিয়েছে।


বিজেপির প্রতিক্রিয়া


বিজেপি নেতার উপর আক্রমণ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক ও অন্যতম রাজ্য সম্পাদক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, "এবারও আমরা আসানসোলে জিতব। বিধায়ক হুমকি দিচ্ছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। অনুব্রত মণ্ডল এই লোকসভার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সিবিআইয়ের ভয়ে হাসপাতালে। তাঁর অনুগামী গুন্ডারা এবার আর ভোট দখল করতে আসবে না বুঝতে পেরেই ভোটের আগে তাণ্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। কমিশন ও পুলিশকে বলব যেন ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন।" জিতেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''আগে অবৈধ বালি কয়লার বিরুদ্ধে  বহু যায়গায় অভিযোগ করেছি, সেই কারনে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম, বিজেপি করি বলে এই হামলা, এটা শাসক ‌দল ছাড়া সম্ভব নয়।'' অন্য দিকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে জেলা  তৃণমূল। 


আরো পড়ুন: দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন রাজ্যপালের