মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: বিজেপি ছাড়লেন পশ্চিম বর্ধমানের সহ সভানেত্রী। রবিবার পাণ্ডবেশ্বরে সায়নী ঘোষ ও স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন সোনালি গিরি। আর তাঁর এই দলত্যাগ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা।
তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমানের সহ সভানেত্রী সোনালি গিরি।রবিবার পাণ্ডবেশ্বরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের উপস্থিতিতে হল দলবদল।
ইনিই সেই সোনালি গিরি। যাঁকে দেখতে গিয়ে গত ১১ অগাস্ট, খোট্টাডিহি এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।পাল্টা জিতেন্দ্রও আঙুল উঁচিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিক্ষোভকারীদের দিকে। বসে পড়েন মাটিতে।
অথচ এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই শিবির বদল করলেন বিজেপি নেত্রী।
তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেত্রী সোনালি গিরি বলেছেন, জেলার দায়িত্বে ছিলাম, এখানে তৃণমূল উন্নয়নের কাজ করছে, বিধায়ক কাজ করছেন, তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।
রবিবার যোগদান মঞ্চে দেখা যায় পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেও। অথচ ১১ তারিখ তিনিই, আক্রমণ শানিয়েছিলেন সোনালির বিরুদ্ধে।
নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে এসেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওই নেত্রী আগে টাকা নিয়েছিলেন চাকরির নামে, কর্মপ্রার্থীরা আজ টাকা চাইতে গিয়েছিলেন।
এই মন্তব্যের ঠিক ১১ দিন পরে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নিজের অবস্থান বদল করলেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেছেন, সেদিন যত না বিক্ষোভ ছিল সোনালির বিরুদ্ধে, তার চেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল জিতেনের বিরুদ্ধে, তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এখন সোনালি উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
শাসক নেতার ভোলবদল নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেছেন, প্রমাণ হল সোনালি দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, আজও পরিষ্কার ভাবমূর্তি রয়েছে, তৃণমূল প্রমাণ করল সেদিন ভুল বলেছিল।
সবমিলিয়ে এবার বিজেপি নেত্রীর দলবদল নিয়েও সরগরম কোলিয়ারি অঞ্চল।
আরও পড়ুন- BJP Celebrity Members: শিল্পীদের নিয়ে বৈঠক রাজ্য বিজেপির দফতরে, সেলিব্রিটিদের ধরে রাখতে তৎপর বিজেপি