দীপক ঘোষ, কলকাতা: নিজেদের শিবিরের দুই অভিনেতাকে সিপিএমের মঞ্চে দেখার পরই, সেলিব্রিটিদের ধরে রাখতে তৎপর হল বিজেপি।  তড়িঘড়ি শিল্পীদের নিয়ে বৈঠক হল রাজ্য বিজেপির দফতরে। সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির এক সহ-সভাপতিকে।


তারকাদের যোগদান নিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির। একুশের মহারণে তারকাদের প্রার্থীও করে গেরুয়া শিবির।


কিন্তু, হাইভোল্টেজ ভোটে হিরণ বাদে বিজেপির সব সেলিব্রিটি প্রার্থীই পরাজয়ের মুখ দেখেন। তারকাদের অধিকাংশই কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। 


গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভোটের পর মুকুল রায় এখন পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে গেছেন। সম্প্রতি, আর কলকাতায় দেখা যায়নি কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। 


ছন্নছাড়া অবস্থা বিজেপিপন্থী তারকা শিবিরে। দিনকয়েক আগে যাবদপুরে সিপিএমের শ্রমজীবী ক্যান্টিনে দেখা যায় অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপা ভট্টাচার্যকে।


এই প্রেক্ষাপটে, রবিবার রাখিবন্ধন উপলক্ষে দলের রাজ্য দফতরে সেলিব্রিটিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেলিব্রিটিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।‍ 


সূত্রের খবর, দলের সংস্কৃতি সংগঠন, কীভাবে কাজ করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। শিল্পীদের সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, কয়েকজন যারা আসছেন না যাদের সঙ্গে সম্পর্ক কম আছে তাদের সঙ্গে পার্টির সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা হচ্ছে, আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করব, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে কথা হয়েছে। 


অনিন্দ্যপুলক বা রূপার দলত্যাগকে আমল দিচ্ছে না বিজেপিপন্থী তারকারা। বিজেপি নেত্রী ও অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী বলেন, যারা চলে গেছে, গেছে। সিপিএম রেজিমেন্টেড পার্টি কুল পাবে না। যোগাযোগ নেই বলে পার্টি ছাড়লাম এই পলিসি ঠিক নয়। কেন নিজে যোগাযোগ করব না। 


বিজেপি নেতা ও অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, বরাবরই যোগাযোগ ছিল। উভয়পক্ষের উচিত মিটিয়ে নেওয়া। সিপিএমের থেকে তাঁরা কী সম্মান পেলেন?


গেরুয়া শিবিরের নতুন কৌশলে বিজেপিপন্থী তারকাদের আদৌ সক্রিয় করতে পারে কি না, তা নিয়েই চলছে জল্পনা।