মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: স্কুল থেকে ফিরছিল সে। কিন্তু এটাই যে শেষবার তাঁর স্কুলে যাওয়া হবে, তা হয়ত জানত না নবম শ্রেণির উৎসব চক্রবর্তীও। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। স্কুলে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার পরে বাড়ি যাওয়ার পথে মাথা ঘুরে পড়ে যায় উৎসব। জ্ঞান হারিয়ে যায় তার। তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা উৎসবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উৎসবের বাবা উজ্জ্বল চক্রবর্তী একটি বেসরকারি কারখানায় চাকরি করেন। দুর্গাপুরের বিধাননগরের বাসিন্দা। ঘটনার খবর পেয়ে অসুস্থ হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি উৎসবের মা ও দাদু। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার ধীমান মণ্ডল জানিয়েছেন, ''২-৩ জন চিকিৎসক সঙ্গে সঙ্গে দেখেছেন, তাঁরাও বুঝতে পারছেন না কী হয়েছে, ময়নাতদন্ত করলে কারণ জানা যাবে। অতীতে কোনও কেস হিস্ট্রি পাইনি।''
সপ্তাহের প্রথম দিন, সঙ্গে পরীক্ষা। অন্যান্যদিনের তুলনায় এদিন একটু সকাল সকালই উঠে পড়েছিল উৎসব। কিন্তু স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরোতেই ঘটে গেল অঘটন। মৃতের দাদু বলছেন, ''কী হয়েছিল বলতে পারব না, খবর পেয়ে দৌড়ে এসেছি, এসে শুনছি মারা গেছে, পড়াশুনোয় ভালো ছিল।'' বিধাননগরের বাসিন্দা উৎসব চক্রবর্তী দুর্গাপুর সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পড়ুয়া। পরীক্ষার জন্য মানসিক চাপ? নাকি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল উৎসব? মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে চিকিৎসকরাও। ঘটনায় মন্তব্য করতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্বপ্ন ছিল ভবিষ্যতে কম্পিউটার নিয়ে পড়াশুনো। খবরটা পাওয়ার পর থেকে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা। ভর্তি হাসপাতালে। মেধাবী, প্রাণোচ্ছ্বল ছেলেটার মৃত্যু মেনে নিয়ে পারছেন না কেউই।
এদিকে, ব্যবসায়ী খুন হাবরার নগরউখরা মোড়ে। হাবরা (habra) বাজারে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে খুন করার অভিযোগ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নিহত ব্যবসায়ী (businessman) নাম পার্থ বিশ্বাস বয়স ৪০। তাঁর গলায় ছুরি মারা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ব্যবসায়ীর টাকা পয়সা নিয়ে গন্ডগোল এর জেরে খুন।