অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর : বিলি হয়ে গেছে বিয়ের (Wedding) আমন্ত্রণপত্র। প্যান্ডেল বাঁধাও শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এরই মধ্যে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছেন হবু কনে। অভিযোগ উঠছে, পরিবার বিরোধী (Opposition) দলের সমর্থক হওয়ায় মিলছে না সরকারি প্রকল্পের (Government Scheme) টাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Medinipur) নারায়ণগড়ের (Narayangarh) ঘটনা। সরকারি প্রকল্পে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও (BDO)।
৩০ নভেম্বর, স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা সূর্য রায়ের মেয়ের বিয়ে। অভিযোগকারিণীর দাবি, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর, রূপশ্রী প্রকল্পের (Rupasree Scheme) ২৫ হাজার টাকা পেতে বিভিন্ন সরকারি দফতরে ঘুরছেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা নিতে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলছে। অভিযোগ, আশার বাবা বিজেপি করায় রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পে তাঁকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না! পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোটা বিষয় নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
অভিযোগকারিণী আশারানি রায় বলেছেন, 'দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রেখে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, বলা হয় নথিতে ত্রুটি, কাগজ ঠিক করে আবার অঞ্চল অফিসে যাই, তারপরও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।' নারায়ণগড়ের বিজেপি নেতা সূর্য রায় বলেছেন, 'বিজেপি করি, তাই আমার মেয়েকে বারবার ঘোরানো হচ্ছে।' এদিকে, নারায়ণগড়ের ৫নং পাকুড়সেনি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান রঞ্জিত বসু বলেছেন, 'কোনও কাজে আমরা রং দেখি না, সার্ভে করার জন্য আধিকারিক রয়েছেন, আমার কাছে ওঁরা আসেননি, খোঁজ নিয়ে দেখব।'
এদিকে, নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেছেন, 'মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, অফিসার পাঠিয়ে খোঁজ নেব, যোগ্য হলে ব্যবস্থা নেব।' বিয়ের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। তার আগে মিলবে তো রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা? অপেক্ষায় বিজেপি নেতার পরিবার।
আরও পড়ুন- কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা