সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম। স্থানীয় সূত্রে দাবি, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়েই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ।
নিভিয়ে দেওয়া হল পার্টি অফিসের লাইট! এরপরই শুরু লাঠালাঠি। একের পর এক লাঠির বাড়ি। অবাধে ভাঙচুর হল দলীয় অফিসে! ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূলের পতাকা! তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা রোডের নবকলা গ্রাম। পরস্পরকে লক্ষ্য করে কাচের বোতলও ছোড়ে দু’পক্ষ। এই ঘটনায় ৮ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে? তা নিয়ে তৃণমূলের নবকলা বুথ সভাপতি হাবিবুল্লা খানের অনুগামীদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাদ স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিজামউদ্দিন খাঁ-র অনুগামীদের।
শুক্রবার রাতে সেই বিবাদ সংঘর্ষের চেহারা নেয়। দু’পক্ষের সমর্থকরা লাঠি-বাঁশ হাতে পরস্পরের ওপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে গড়বেতা থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নিজামউদ্দিন খাঁ পলাতক। অন্যদিকে একটি ধর্ষণের মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি বুথ সভাপতি হাবিবুল্লা খান।
গড়বেতা থানা সূত্রে দাবি, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কেন হামলা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি ডেঙ্গি (Dengue) সচেতনতায় প্রচার ঘিরে কসবায় (Kasba) দু’পক্ষের সংঘর্ষ। থানার সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুই কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীদের অভিযোগ, রবিবার বহিরাগতদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালায় ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা। কসবা থানায় (Kasba Police Station) অভিযোগও দায়ের হয়। কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় কসবা থানার সামনে (Kasba Police Station) অনুগামীদের নিয়ে ধর্নায় বসেন লিপিকা মান্না। সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা চলে আসায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বেধে যায় বলে অভিযোগ। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সুশান্ত ঘোষের অনুগামীরা।