বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর : দলবদল করার জন্য চাপ দিতে, খড়গপুরে বাম শ্রমিক সংগঠনের (Left Worker Leader) নেতাকে অপহরণের অভিযোগ (Kidnapping Allegation) উঠল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। পুলিশ ও বাম-কর্মীদের চেষ্টায় উদ্ধার। যদিও, সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল।


থানায় লিখিত অভিযোগ


দলবদলের জন্য চাপ দিতে অপহরণের অভিযোগ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল বামেরা। থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বাম শ্রমিক সংগঠন All India Trade Union Congress বা AITUC। বুধবার দুপুরে খড়গপুর শহরের নিউ ট্রাফিক এলাকায় নিজের দোকানে ছিলেন AITUC'র খড়গপুর শাখার রেল হকার ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ সেই সময় দোকানে চড়াও হন ২০-২৫ জন তৃণমূলকর্মী (TMC Workers)। 


জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ


জোর করে বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, খড়গপুর শহরের (Kharagpore Town) বাবুলাইন এলাকায় একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে। অভিযোগ এমনটাই। AITUC-র খড়গপুর শাখার রেল হকার ইউনিয়নের সহ-সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও যে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC’তে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। 


রাজনৈতিক চাপানউতোর


পরে পুলিশ ও বাম-কর্মীরা গিয়ে বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতাকে উদ্ধার করে। যা নিয়ে তৃণমূল (TMC) ও বাম শিবিরের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। এদিকে, পুলিশ (Police) জানিয়েছে, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


বিধানসভার প্রাক্কালে দলবদলের ঢল নেমেছিল বঙ্গে


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার ঢল নেমেছিল। তৃণমূলের বহু নেতা-বিধায়ক-সাংসদ সেই সময় বিজেপিতে যান। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত।, সুনীল মণ্ডল। বিজেপিতে যোগ দেন রুদ্রনীল ঘোষ, শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ২০২১ সালের প্রত্যাশামতো ফল করতে পারেনি বিজেপি। তখনই এই দলবদল নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে। কেন এই নেতাদের নেওয়া হয়েছিল তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এদিকে ভোটের পরে বহু নেতা বিজেপি ছেড়ে ফিরে যান তৃণমূলে। তৃণমূলে ফেরেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্য়সাচী দত্ত।    


আরও পড়ুন- শুভেন্দুর মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ, কালো পতাকা, বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার তারকেশ্বরে