পিংলা : পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় (Pingla) বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। এর পাশাপাশি মেদিনীপুর আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দিলেন নির্যাতিতা। পরিবার সূত্রে খবর, দিদির বাড়িতে এসেছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম ওই মহিলা। অভিযোগ, রাতে বাসন ধোয়ার জন্য বাড়ির বাইরে বের হলে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। 


এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী সম্মিলনীর পক্ষ থেকে এসপি অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুলিশের বচসা বাধে। পুলিশ মিছিল আটকালে বচসা, ধস্তাধস্তি।


হাঁসখালি, কাকদ্বীপ, বোলপুর, দেগঙ্গার পর এবার পিংলা। একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ উত্তাল রাজ্য। এবার বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিযোগ জানাতে নিজেই মেদিনীপুর আদালতে যান নির্যাতিতা। এই ঘটনায় প্রথমে তৃণমূল নেতাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও পড়ুন ; "বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মাদুরে মুড়ে মৃতদেহ ছিনিয়ে নেয়", হাঁসখালির ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার


বিজেপি অভিযোগ করে, ঘটনার পর প্রভাবশালী তৃণমূল সদস্যদের পক্ষ থেকে অভিযোগ না জানাতে চাপ দেওয়ার ও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথমে অভিযোগ জানানোই হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিষয়টি শুনে অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়। 


এনিয়ে অবশ্য তৃণমূলের তরফে পিংলার বিধায়ক অজিত মাইতি বলেছিলেন, ঘটনাটি শোনার পরই পুলিশকে জানাই। রাতেই যেতে বলি ঘটনাস্থলে। পুলিশে প্রথমে অভিযোগ জানাতে চায়নি মেয়েটির পরিবার। বিজেপি অবশ্য অন্যরকমভাবে ঘটনা সাজানোর চেষ্টা করছে। পুলিশকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছি, বিষয়টি সত্যি হলে যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হাঁসখালির ঘটনায় গতকালই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। জানানো হয়েছে, আদালতের পর্যবেক্ষণে এই তদন্ত চলবে।