অমিত জানা ও সুনীত হালদা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া: পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় রেলের থার্ড লাইনের একাংশের কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠল INTTUC-র বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দাবি, স্থানীয়দের না নিয়ে বাইরের লোক দিয়ে কাজ করাচ্ছে ঠিকাদার সংস্থা। দেওয়া হচ্ছে না প্রাপ্য মজুরি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, জানিয়েছেন ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার। এনিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
শুক্রবার থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে বন্ধ রয়েছে থার্ড লাইনের একাংশের কাজ। পড়ে রয়েছে যন্ত্রপাতি। এলাকায় উড়ছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র পতাকা। রেলের কাজ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে বঙ্গের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
রেল সূত্রে খবর, খড়গপুর থেকে ওড়িশার জাজপুর পর্যন্ত থার্ড লাইনের কাজ চলছে। তারই অংশ হিসেবে বেলদা থেকে দাঁতন পর্যন্ত থার্ড লাইনের কাজ করছে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটির একটি ঠিকাদার সংস্থা।
সেই কাজই বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে INTTUC-র বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন এমন আন্দোলন? বেলদার তৃণমূল নেতা কালীপদ দাস বলছেন, "শ্রমিকদের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে, বর্তমান বাজারদরের অনুপাতে মজুরি দেওয়া হচ্ছে না, ঠিকাদার সংস্থা গুরুত্ব দেয়নি, তাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যদিও মৌখিক আলোচনার পর এক জায়গায় কাজ করতে দেওয়া হয়েছে, অপর সাইটে বন্ধ রয়েছে কাজ।'' ঠিকাদার সংস্থার সুপারভাইজার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ঠিকাদার সংস্থা কিছু জানায়নি। ফলে কাজ বন্ধের খবর জানা নেই। যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে তরজা
হাসপাতাল (Hospital) আছে, কিন্তু কার্যত কোনও পরিষেবা নেই! তিন বছর ধরে নেই কোনও চিকিৎসক (Doctor)! কোচবিহারের (Coochbihar) দেওচড়াই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে সরব গ্রামবাসীরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক (Political) তরজা। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে। জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।