সোমনাথ দাস, দাসপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে মত্ত যুবকদের গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। উন্মত্ত জনতার মারে মাথা ফাটল এক NVF কর্মীর, হাত ভাঙল এক ASI-এর। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার সাগরপুর এলাকায়।
দাসপুরে আক্রান্ত পুলিশ: মদ্যপ যুবকদের গন্ডগোল থামাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। মাথা ফাটল পুলিশ কর্মীর, উত্তেজিত জনতা ভেঙে দিল পুলিশের গাড়ি। খবর পেয়ে দাসপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। গ্রেফতার করা হয় ১৪ জনকে। গতকাল রাতে ঘটনার সূত্রপাত দাসপুরের সাগরপুর গ্রামে। পুজোকে কেন্দ্র করে একদল মত্ত যুবকের মধ্যে গন্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশ যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের মারধরে এক যুবক আহত হয়। পাল্টা পুলিশের দাবি, ওই যুবক মত্ত অবস্থায় বেসামাল হয়ে পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। এরপরই এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতা। চলে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে র্যাফ নামানো হয়। আহত NVF কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকায় চলছিল গ্রামের পুজো আর সেখানেই শুরু হয় মদ্যপ অবস্থায় গন্ডগোল। গন্ডগোল চলতে চলতে তা বিশাল আকার ধারণ করে। ঘটনার খবর যায় দাসপুর থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত হয় দাসপুর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করে পুলিশ। আর ঠিক সেই সময় এক যুবক মন্দিরের আটচালাতে পড়ে যান। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি ওই যুবককে পুলিশ মেরেছে সেই কারণেই পড়ে গিয়েছেন। ওই ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় কলকাতায়। অন্যদিকে পুলিশের দাবি নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করতে করতে এই পরিণতি হয়েছে। এলাকার পুজো দেখতে যাঁরা এসেছিলেন তাঁরপ পুলিশকে ঘিরে ফেলে,শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে তুমুল গন্ডগোল। গন্ডগোল চলতে চলতে এক পুলিশ কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। এছাড়াও অন্য একজন SI-এর হাতে আঘাত লাগে। অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় কথা বলা হয় পুলিশের সঙ্গে। এমনকী পুলিশ গাড়ি ও ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় উপস্থিত হয় পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামল দিতে নামানো হয় RAF। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আহত পুলিশ কর্মীরা ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।