সোমনাথ দাস, সৌমেন চক্রবর্তী , পশ্চিম মেদিনীপুর  : কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি (  West Bengal Rain ) আর বজ্রপাত । আর তাতেই প্রাণ হারালেন একাধিক মানুষ। রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে চন্দ্রকোনা ( Chandrakona )  থেকে। অন্যদিকে শালবনীতেও ( Shalboni ) কৃষির কাজ করতে গিয়েই বজ্রপাতে প্রাণ হারান আরেক ব্যক্তি। 



 চাষের কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু



পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার যাদবনগর গ্রামের  তরতাজা যুবক তাপস পাতরের প্রাণ যায় বাজল পড়ে। বয়স মাত্র ২৬। যাদবনগরের ওই যুবত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাঠে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ই নামে প্রবল বৃষ্টি। সঙ্গে শুরু হয় বাজ পড়া। ফাঁকা মাঠেই বজ্রাঘাতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি । পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয়  চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরাতাঁকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃতের পরিবারে। 

অন্যদিকে বজ্রপাতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে আরও এক মৃত্যু ঘটেছে শুক্রবারে। মৃতের নাম স্বপন ভুঁইঞা। বয়স ৪৪। তাঁর বাড়ি শালবনী থানার বাগমারী এলাকায়। তিনিও জমিতে চাষের কাজ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে আটকে পড়েন।  সেসময়ই বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।   


আরও পড়ুন : 


এই তিনরাশিকে কখনই বিরক্ত করে না শনিদেব, নিয়ম মেনে চললে ঘটে প্রাপ্তিযোগও


অন্যান্য জেলাতেও বাজ পড়ে মৃত্যু


বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, কালনা, খণ্ডঘোষ ও মঙ্গলকোটে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত হয়েছেন একজন। মুর্শিদাবাদের সালারে দুপুরে একটি খামারে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। সেই সময় বাজ পড়লে ২ জনের মৃত্যু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঘটেছে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। শালবনী থানার বাগমারিতে একজন এবং চন্দ্রকোণা থানার যাদবনগর গ্রামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বাজ পড়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ঝোড়ো হাওয়ায় ঝাড়গ্রামের গড়মোহানি সহ বিভিন্ন জায়গায় উড়ে যায় একাধিক বাড়ির ছাউনি। বেশ কয়েকটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে। ক্ষতি হয় ফসলের। জমি থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। 


আরও পড়ুন :


ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই বেড টি চলে এল, খারাপ না ভাল ?