অমিত জানা, বেলদা: ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় প্রাণ গেল ছাব্বিশ বছরের তরতাজা যুবকের। বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা সহীদ শেখের।                       


ঠিক কী হয়েছে? 


পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার সুসিন্দা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে স্বস্তির সন্ধায় মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য ইলেকট্রিক বোর্ডে কাজ করছিলেন। আর সেই সময় হাতে ও বুকে ইলেকট্রিকের তারের সংস্পর্শ হয়। চিৎকার করতে থাকায় পাশাপাশি তার সহকর্মীরা ছুটে এসে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।                                              


মুর্শিদাবাদে লালগোলার বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে কর্মসূত্রে বেলদায় থাকছিলেন। আর গতকাল বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে বেলদা থানার পুলিশ দেহ সংগ্রহ করে আজ ময়না তদন্তে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে।


আরও পড়ুন, সকাল থেকেই মেঘের ডাক, ষষ্ঠীর পর সপ্তমীতেও অসুর বৃষ্টি


কয়েক সপ্তাহ আগে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, শর্ট সার্কিট হয়েছে টের পেয়েই মেইন সুইচ বন্ধ করতে যান পরিবারের সদস্য বাবলু মুর্মু। কিন্তু তড়িঘড়ি মেইন সুইচ বন্ধ করলেও, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। সেই সময় টিনের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসেছিলেন বাবুল জ্যেঠু কবিরাজ মুর্মু এবং জ্যেঠিমা হপনময়ী সোরেন। তাঁরা দু'জনও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। গোপাল মুর্মু নামের আরও একজন তড়িদাহত হন। তড়িঘড়ি ওই চারজনকে ধরাধরি করে স্থানীয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে বাবলু, কবিরাজ এবং হপনময়ীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গোপাল বেঁচে রয়েছেন যদিও। তবে তাঁর অবস্থাও সে সময় আশঙ্কাজনক ছিল।