সৌমেন চক্রবর্তী, কেশপুর: কেশপুরে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। এমনই অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট করলেন বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি! যা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে গেরুয়া শিবির! অস্বস্তিতে পড়ে সাফাই দিয়েছে তৃণমূল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার।


ফের তৃণমূলের পদাধিকারীদের তালিকায় সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম।নদিয়ার শান্তিপুর, পূর্ব বর্ধমানের কালনার পর এবার ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর। গত ৩০ এপ্রিল, কেশপুরে সংখ্যালঘু সেলের ব্লক কমিটির তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস ফেসবুকে একটি তালিকা প্রকাশ করেন। সেখানে ৪১ নম্বরে নাম রয়েছে শেখ আফসর আলির। তিনি কেশপুর থানায় কর্মরত।


বিজেপি নেতার অভিযোগ, কেশপুর থানায় কর্মরত এই সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম রয়েছে কেশপুর তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের ব্লক কমিটিতে। এ নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, যদি কোনওদিন দেখেন থানার ওসি-র নাম রয়েছে তৃণমূলের ব্লক বা জেলা কমিটিতে। তাতে অবাক হবেন না। কারণ এটা সরকার নয়, সার্কাস চলছে।                                               


বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার তন্ময় দাস বলেন, “একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ব্লক কমিটিতে রেখেছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পুলিশকে দিয়ে রাজনীতি করাচ্ছে। কোর্টে যাব আন্দোলন করব।’’যদিও এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানেন না বলে দাবি করেছেন, কেশপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ আফসার আলি। তাঁর দাবি, “আমিও বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছি। আমি ২০১৩ সাল থেকে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছি। আমি জানতামই না। আমি কোনওদিন রাজনীতি করিনি।’’ তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যোৎ সরকার বলেন, “বিজেপি কী বলল জানি না। তবে নীতিগত দিক থেকে নামটা না রাখাই ভাল। রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সে যুক্ত হলে মানুষের চোখে বিষয়টা ঠিক হবে না। যাঁরা দায়িত্বে আছে, কথা বলে দেখব।’’

এ নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টা তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। শান্তিপুর থেকে কালনা, এর আগে একইরকম অভিযোগ উঠেছে দুই জেলায়। এবার সেই অভিযোগই উঠল জঙ্গলমহলের জেলায়। 


আরও পড়ুন: Kale Health Benefits: সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?