কলকাতা: বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার মধ্যেই ফের রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) সঙ্গে সংঘাতে শোভন চট্টোপাধ্যয় (Sovan Chatterjee) এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। রত্নার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। গন্ডগোলের আশঙ্কায় আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন শোভন। পুলিশে জানানোর পরেও রত্নার বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছেন শোভন। যদিও লোকজন নিয়ে এসে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রত্না (Kolkata News)। 


রত্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কিছু ছবি এবং ভিডিও-ও সামনে এসেছে।  সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে, যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


বুধবার এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হতে রত্নার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শোভন। বলেন, "ঠিক দরজার বাইরে, কিন্তু আদালতর চত্বরেই। দোতলায় আদালতের করিডরে, অশ্রাব্য ভাষায়। যে ভাষা আমি উচ্চারণ করতে পারব না। আমি লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি, বিভিন্ন ধরনের হুমকি সব দিয়ে যাচ্ছে। এটা কি ভদ্রতা, সভ্যতা? এটা কি আদালত?"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মালদার উদ্দেশে রওনা মুখ্যমন্ত্রীর, যোগ দেবেন নবজোয়ার কর্মসূচিতে


শোভনকে সমর্থন করে মুখ খুলেছেন বৈশাখীও। তিনি বলেন, "শোভন এজলাসের মধ্যেই ছিলেন। রত্নার সঙ্গে কিছু সঙ্গীসাথী আসেন। তাঁরা যে ভাষায় কথা বলছিলেন, তা বুঝতে হলে অকথা-কুকথার অভিধান নিয়ে বসতে হবে। কোনও ভদ্র-সভ্য সমাজে এমন কথার ব্যবহার হয় বলে জানা নেই। বিধায়ক এলে নাকি তাঁর সঙ্গীসাথীরাও নাকি আসেন! বেশ আসেন। আমার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর চেষ্টাও হল। কিন্তু আমাকে নবীরব দেখে এগোননি। তার পর দেখলাম, শোভন এজলাস থেকে বেরিয়ে আসছেন, আর প্রচ্ড চিৎকার চলছে। চার-পাঁচ জন মিলে যে সমস্ত ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানুষের শুভ বুদ্ধি অস্তমিত হলে, তখন লাগাম পরানো যায় না। বেলাগাম মানসিকতা, যে সংযমহীন ভাষায় উনি কথা বলছিলেন, পুলিশের দ্বারাও এর চিকিৎসা সম্ভব বলে মনে হয় না। আমাকে নানা রকম কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়।"


এর আগে, ২৭ এপ্রিল এবং তার আগেও বার বার এমন ঘটেছে বলে দাবি শোভনের। এমন ঘটে বলেই আদালেত পুলিশ থাকে বলে দাবি করেছেন তিনি। শোভনের দাবি, তিনি বিচ্ছেদ চেয়েছেন। উনি চাইছেন পুনর্মিলন। তার এই নমুনা হতে পারে কি, প্রশ্ন তুলেছেন শোভন।


আরও পড়ুন: World Asthma Day 2023 : প্রবল গ্রীষ্ম বাড়ায় অ্যাজ়মার প্রবণতা, তীব্র হয় কষ্ট, কীভাবে বাঁচবেন


যদিও হুমকি, গালাগালির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রত্না। তিনি বলেন, “শোভনবাবু-বৈশাখীদেবীকে ভয় দেখাব আমি? আমার মতো এত ক্ষুদ্র মানুষ? শোভনবাবুরা অল্পেই ভয় পেয়ে যান। আজ কোর্টে কী ঘটেছে আমার জানা নেই।” শোভনের দেহরক্ষীকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু রত্নার দাবি, তিনি রাজ্যের বিধায়ক। সেই সরকার থেকেই নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। সেই নিরাপত্তারক্ষীকে তিনি হুমকি দিয়েছেন, এটা অবান্তর যুক্তি। একই সঙ্গে রত্না জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কোর্টে দু'-তিন জন যাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে শোভনের সঙ্গে বৈশাখীর কোর্টে যাওয়াও অপরাধ।