পশ্চিম মেদিনীপুর: শাসক থেকে বিরোধী, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে হুমকির পাল্টা হুমকি। ‘গাড়ির সামনে এলে, এবার এলআইসি করে আসতে হবে’, কেশিয়াড়ির সভা থেকে তৃণমূলকে হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। পিংলার তৃণমূল বিধায়ককেও বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের। 

সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়েও বিস্ফোরক হন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির মন্তব্য, ‘অনুব্রত জামিন পেলে বীরভূমের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না। অনুব্রত ছাড়া পেলে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) রক্তাক্ত হবে। গতবছরের থেকেও পরিস্থিতি খারাপ হবে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অনুব্রতকে ভিতরে রাখা দরকার’। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর দাবি ও রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট প্রয়োজন। আর তৃণমূলের মধ্যেই ৫০ শতাংশ নির্দল হয়ে যাবে। প্রার্থী দেওয়া নিয়ে প্রথমে তৃণমূলের অন্দরেই সংঘর্ষ হবে’। সম্ভবত আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission) সূত্রে। রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট, এমনই ইঙ্গিত কমিশন-প্রশাসন সূত্রে। যা নিয়েই খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি খোঁচা দেন অনুব্রত মণ্ডলকে।

গত ১১ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার হন দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তারপর থেকে তাঁর ঠিকানা আসানসোল সংশোধনাগার। জেলে থাকলেও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে আদালতে যাওয়ার মাঝে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সারছেন বলেই সূত্রের খবর। এই অবস্থায় তাঁকে খোঁচা দিলেন দিলীপ ঘোষ।বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির বিস্ফোরক দাবি, 'অনুব্রত মণ্ডল যদি জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসেন তাহলে বীরভূমের ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না। রক্তাক্ত হবে। গতবারের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। কারণ আগের থেকে বীরভূমে তৃণমূল দুর্বল হয়েছে। বিরোধী হিসেবে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। তাই শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে ভেতরে (জেলের) রাখার দরকার আছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দরকার আছে।'

আরও পড়ুন, 'আমরা খিচুড়ি-ভাত খাব, কিন্তু কাউকে কাটমানি খেতে দেব না', বিস্ফোরক গ্রন্থাগারমন্ত্রী

প্রসঙ্গত, সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে হতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট। সেই দিকে তাকিয়ে এখন থেকেই কোমর বাঁধছে রাজ্যের শাসক দল। বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল। সেই ঘটনায় একের পর এক মন্ত্রী-বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। সেই আবহেই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে ঘর গোছাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। যদিও গত উপনির্বাচন ও পুরভোটের ফলাফল, আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে তৃণমূলকে।