সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamta Banerjee) নির্দেশকে উপেক্ষা করে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) অবৈধভাবে গাছ কেটে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে গড়বেতায় (Garhbeta)। উঠল এমনই বড়সড় অভিযোগ। সবে গেল অরণ্য সপ্তাহ। এই বর্ষাকালে গাছ কাটার কোনও আইনও নেই। তাও অবাধে বেশ কিছু গাছ কেটে নেওয়া হল গড়বেতার গিলাবনি গ্রামে।
মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলবেন, গাছ চুরি করা যাবে না, আর তৃণমূলের নেতারা গাছ চুরি করবে: বিজেপি
অভিযোগ, শনিবার লীলা মনি গ্রামের যে ফুটবল মাঠ রয়েছে তার পাশে বেশ কিছু গাছ ছিল সেগুলোকে কেটে নেওয়া হয়। এবং এই গাছ কাটার কোনও রকমই অনুমতি ছিল না। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে যদিও বনদপ্তর খবর পেয়েই সমস্ত গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। কেটে ফেলা গাছগুলি উদ্ধার হলেও যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা জেলার মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, 'তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলবেন, গাছ চুরি করা যাবে না। আর তৃণমূলের নেতারা গাছ চুরি করবে।'
আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিই শেষকথা', মন্ত্রিসভার রদবদল ঘোষণা ঘিরে কী বলছেন মুকুল-কুণালরা ?
যেই গাছ কাটুক না কেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই: জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান
অন্যদিকে গড়বেতা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অসীম সিং জানান, 'কিছু মানুষ গাছ কেটেছিল, খবর পাওয়া মাত্রই বনদপ্তরকে জানাই। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত কেটে ফেলা গাছ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এবং যারা এই কর্মকাণ্ড করেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, 'যেই গাছ কাটুক না কেন, এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' প্রসঙ্গত, 'একটি গাছ একটি প্রাণ' সচেতনামূলক বার্তা যতোই ছড়িয়ে দেওয়া হোক, রাজ্যে অবৈধ গাছ কাটা থামেনি বলেই অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পর্যাপ্ত গাছের অভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও ঘটছে। তবে গত কয়েক বছরে স্বেচ্ছাসেবক এবং শাসকদলের তরফে অসংখ্য বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে। এদিকে থামানো যায়নি গাছ কাটাও। তাহলে পরিস্থিতি কি একই তিমিরে ? প্রশ্নের ঢেউ রাজ্যে।