পশ্চিম মেদিনীপুর : কেশপুর (Keshpore) ব্লকের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি নিয়ে সংঘাত। কেশপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসেই (TMC Party Office) বিক্ষোভের মুখে ব্লক সভাপতি। ব্লকের একাংশ নেতাকে না জানিয়ে সভাপতির নাম ঘোষণার অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে কেশপুরে পার্টি অফিসের সামনে প্রচুর পুলিশ। বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। কেশপুরে ফের তৃণমূল বনাম তৃণমূলের দ্বন্দ্ব, পার্টি অফিসেই বিক্ষোভ। শাসক-দ্বন্দ্বে তৃণমূল কর্মীর হাত ওড়ার পরে এবার পার্টি অফিসেই বিক্ষোভ।
তবে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই নয়, প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল মালদাতেও। শাসকদলের (TMC) প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ দলবলের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Clash), তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির (BJP)। সাফাই তৃণমূলের, শুরু তরজা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মারধরের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ব্লক সভাপতি থাকাকালীন পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন। সেই নিয়েই চলছিল দ্বন্দ্ব। টাকা চাইতে গেলে দেওয়া হয়েছিল মিথ্যা মামলা। সমগ্র ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা এলাকায়। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল ব্লক সভাপতি। পাল্টা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকেই দায়ী করেছেন তিনি।এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে দলের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়া হবে সাফাই তৃণমূলের।
আরও পড়ুন, ফের কলকাতা বিমানবন্দরে সোনা উদ্ধার, শুল্ক দফতরের জালে ২ যাত্রী
মুখে না বললেও অস্বস্তিতে শাসকদল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মোহাম্মদ নজিবুর রহমানকে রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠল হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হজরত আলী এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সমাউন ইসলামের দলবলের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার রাতে পার্শ্ববর্তী বাংরুয়া গ্রামে উরুষ মেলা থেকে ফিরছিলেন মোহাম্মদ নজিবুর রহমান। সেই সময় মাঝ রাস্তায় তাকে আটকে দেয় হজরত আলীর দুই ছেলে এবং সামাউন ইসলামের দলবল। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। সমগ্র ঘটনায় একদম প্রকাশ্যে এসে পড়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘাত। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন দলের মধ্যে কোন রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা দুর্নীতি নেই। দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে দলের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে মিটিয়ে নেওয়া হবে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কটাক্ষ যারা দলের মধ্যে পদের জন্য টাকার লেনদেন করে। আগ্নেয়াস্ত্র বোমা গুলি ব্যবহার করে। তারা মানুষের জন্য কি করছে বোঝাই যাচ্ছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানোতর। অন্যদিকে গোটা ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।