সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: কেশপুরের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে গতকাল বৈঠকের (Meeting) ডাক দেয় জেলা নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের মিটিং হলে সভাকক্ষে আয়োজন করা হয় এই বৈঠকের। ছুটির দিনে সরকারি অফিসে কেন দলীয় বৈঠক ? তা নিয়ে জেলাশাসকের কাছে নালিশ জানাল বিজেপি (BJP)।


উল্লেখ্য, গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি, বিধায়ক শিউলি সাহা, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশীস হুদাইত, জেলা চেয়ারম্যান অমল পন্ডা, কেশপুরের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা-সহ কেশপুরের ব্লকের তিন জন সহ-সভাপতি এবং কেশপুরের ১৫ টি অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি। অন্যদিকে এই বৈঠকের জন্য জেলা পরিষদে জড়ো হয়েছিল কেশপুর থেকে আসা কয়েকশ তৃণমূল কর্মী। বৈঠক শুরুর আগে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি স্বীকার করে নেন যে, কেশপুরের তৃণমূলের সব নেতৃত্বকে ডাকা হয়েছে এই বৈঠকে। কিন্তু বৈঠক শেষে যখন এই অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি তখন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে বলেন,'আমরা কোনও পার্টির বৈঠক করিনি। আমরা কিছু পঞ্চায়েত সমিতির মেম্বারদের নিয়ে বসেছিলাম।'  


পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় নানা অভিযোগ উঠছে। কোথায় বোমাবাজি, কোথাও অস্ত্র উদ্ধার, তো কোথাও আবার গোষ্ঠীকোন্দল। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সক্রিয়া পুলিশ প্রশাসন। গোষ্ঠীকোন্দল সমাধানে ময়দানে শাসকদল। তবে একুশের বিধানসভা ভোট, একের পর এক উপনির্বাচন, কলকাতা পুরভোটের থেকে অপেক্ষাকৃত গোষ্ঠীবিবাদ বেড়েই চলেছে। এদিকে তবে তা যে শুধু শাসকদলের একারই সমস্যা, এমনটা নয়। রাজ্যে গেরুয়াশিবিরের মাঝেও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। তবে প্রত্যেকেই পরস্পরের অন্দরের বিবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে সেই সুযোগ ছাড়েনি বিজেপিও। 


আরও পড়ুন, 'নীল সাদার জয় কি মা মাটি মানুষের জয় ?' কাদেরকে তোপ দাগলেন দিলীপ ?


প্রসঙ্গত, তৃণমূলের (TMC) ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের ৪ জন আহত হন। আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে, যদিও কামারহাটি থানা  সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি। এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। দলের এক নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধেই তোলাবাজি ও হামলার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। সংঘর্ষে জখম হয় দলের কয়েকজন কর্মীও। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়ায় দুই গোষ্ঠী।