সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর :  পাড়ার ছেলেপুলেদের হাতে পথকুকুরদের নিগ্রহের ঘটনার খবর মাঝেমধ্যেই উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। সরকারি হাসপাতালে নার্সিং-পড়ুয়াদের হাতে কুকুর-শাবক নিধনের ঘটনা এখনও কেউ ভোলেননি। পোষ্য ও পথকুকুরদের নিগ্রহের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মুখ খুলেছেন পশুপ্রেমী ও সামাজিক সংগঠনগুলি। কিন্তু অন্যরকম ঘটনাও ঘটে। রাস্তার কুকুরকে সুরাহা দিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন মানুষজন। শুধু তাই নয়, এক পথকুকুরকে স্বস্তি দিতে এবার উদ্যোগ দেখা গেল পঞ্চায়েতের তরফেও। 

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার। জানা গিয়েছে,  বালা গ্রামে দিন পাঁচেক আগে একটি পথ কুকুরের মুখে আটকে যায় প্লাস্টিকের কৌটো। তারপর থেকেই সে ছটফট করতে থাকে। কোনও ভাবেই কুকুরটি কৌটোটি বের করতে পারেনি মুখের ভিতর থেকে। আচমকা আটকে যাওয়া কৌটোটিকে বের করতে প্রায় দম আটকে যায় কুকুরটির। সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য, জানালেন স্থানীয়রা। এই ঘটনা চোখের সামনে দেখার পর হইচই পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে ।


আরও পড়ুন :


গুগল মিটে বিয়েতে হাজির থাকবেন আত্মীয়রা, জোম্যাটো পৌঁছে দেবে নৈশভোজ, বর্ধমানের পাত্রপাত্রীর অভিনব আয়োজন


 কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালা গ্রামের মানুষদের বড় প্রিয় ওই কুকুরটি। তার ওই হাল দেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, ; একটি পথ কুকুরের মুখে দিন পাঁচেক আগে একটি প্লাস্টিকের কৌটো আটকে যায়। তবে সেই বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসতেই স্থানীয় মানুষেরা লাগাতার চেষ্টা করে এই কুকুরের মুখ থেকে কৌটো খোলার জন্য। '

জানা গিয়েছে, পরপর ৫ দিন মুখ থেকে কৌটো খোলার চেষ্টা করলেও বিফল হন স্থানীয়রা। বুধবার কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শংকর ঘোষ জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে কয়েকজন গ্রামবাসী এবং পঞ্চায়েত কর্মীদের নিয়ে কুকুরটির খোঁজ করেন। কিন্তু  কুকুরটির দেখা পেলেও পঞ্চায়েত কর্মী থেকে স্থানীয়রা কৌটোটি বের করতে বিফলই হয়েছে। তবে পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন,  তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। 

কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, অপটু হাতে ওঅ কুকুরের মুখ থেকে কি কৌটো বের করে আনা আদৌ সম্ভব হবে ?