ঋত্বিক প্রধান, পশ্চিম মেদিনীপুর : গাড়ি ভর্তি তরমুজ। গরম পড়ার মুখে এই সময়টাতেই তো বাজার ভরে যায় তরমুজে। তাই গাড়ি ভরে বাজার-মুখী হয় তরমুজ, এ তো চেনা ছবি।কিন্তু তরমুজের মধ্যে যা ছিল, তার দাম লক্ষ লক্ষ টাকা। লোক সভা ভোটের মুখে নাকা চেকিং করতে গিয়েই পুলিশের চোখে পড়ল এই কাণ্ড !
লোকসভা ভোট ঘোষণা হওয়ার পরেই চারিদিকে চলছে নাকা চেকিং। আর তার জন্যই দিকে দিকে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল আগেই । সেই অনুসারেই গাড়ি দাঁড় করায় পুলিশ। প্রথমে পুলিশ জিগ্যেস করতেই চালক সাফ জানান, তরমুজই আছে গাড়িতে স্যর ! কিন্তু পুলিশের কাছে তো খবর ছিলই। তাই ভাল করে খুঁটিয়ে না দেখে গাড়ি ছাড়েনি পুলিশ। গাড়িতে উঠে তল্লাশি দুঁদে পুলিশকর্তারা চেকিং করবেনই। চেকিং করতেই দেখা গেল, স্তর স্তরে সাজানো তরমুজের মাঝেই রয়েছে নিষিদ্ধ জিনিসের প্যাকেট। তরমুজের কোলের মধ্যেই মিলল লক্ষ লক্ষ টাকার গাঁজা । চালককে আটক করে এগরা থানার পুলিশ।
এগরা এসডিপিও দেবীদয়াল কুণ্ডু জানিয়েছেন, 'গাঁজা পাচার হচ্ছিল পিকআপ ভ্যানে । ৫১ টি গাঁজা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে । এক কুইন্টাল দু কিলো গাজা উদ্ধার হয়েছে। তার মূল্য প্রায় আনুমানিককয়েক লক্ষ টাকা ।'
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়িটি আসছিল পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে । পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। সোলপাট্ট- এগরা রাজ্য সড়কের দোঁবাধি বাজারেই গাড়িটিকে আটকানো হয়। তারপর গাড়ির মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার করে এগরা থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এগরার এসডিও মণজিৎ কুমার যাদব। তিনি বিষয়টি পুরোপুরিভাবে খতিয়ে দেখেন। এই বিশাল পরিমাণে গাঁজা পাচারের ছক বানচাল করে দেওয়া পুলিশ ও প্রশাসনের বড়সড় সাফল্য বলে দাবি করেছেন এগরার এসডিও।
আরও পড়ুন :
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ
পূর্ব বর্ধমানে গরু পাচারের অভিযোগ
কিছুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির চকদিঘি মোড়ের কাছে পর্দা ঢাকা বাসের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় একগাদা গরু। একটি গরু বাস থেকে ব্যস্ত জিটি রোডের ওপর ছিটকে পড়ে যেতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় আটকানো হয় বাসটি। দেখা যায়, বাসের ভিতর যাত্রী তো নেই-ই, আসনও নেই কোনও। তার বদলে বাঁধা রয়েছে একপাল গরু। বাস চালক দাবি করেন, বৈধ কাগজ নিয়েই বিহার থেকে হুগলির পাণ্ডুয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন গরুগুলিকে। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে পর্দা ঢাকা বাসে করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কেন? তবে কি ফের সক্রিয় হয়েছে উঠেছে গরু পাচার চক্র?