কলকাতা : শীতলা অষ্টমী। সন্তানের মঙ্গলকামনায়  চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টম দিনে পালিত হয় এই ব্রত। এদিন মন্দিরে মন্দিরে মা শীতলা পূজিত হন। এবার শীতলা অষ্টমী পড়েছে ২ এপ্রিল। আবহাওয়ার পরিবর্তনের এই সময়ে নানা রকম রোগ বালাইতে আক্রান্ত হয় বাড়ির শিশু। বাদ যান না বড়রাও। এই সব অসুখ বিসুখ থেকে দূরে রাখতেই লোকদেবী শীতলার পুজো করেন ভক্তরা। 


 মা শীতলার পুজোয় রোগমুক্তি 


মনে করা হয় মা শীতলার পুজো করলে গুটিবসন্ত, হাম-পক্স, ইত্যাদি রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।  এছাড়া জীবনের নানা সঙ্কট ও  কষ্ট থেকে মুক্তি দেন মা-শীতলা। মা শীতলার হাতে থাকে ঝাড়ু, যা গৃহস্থর ঘর থেকে অশুভ যা কিছু দূর করে। দারিদ্রের চিহ্ন সরিয়ে নিয়ে আসে সমৃদ্ধি। 


মা শীতলার  মূর্তি ভাল ভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে তাঁর  হাতে থাকে ঝাঁটা ও কুলো, যা ঝঞ্জাল পরিষ্কার করার প্রতীক।  তাঁর হাতে থাকা পাখা হল শরীর শীতল করার প্রতীক। দেবী দুঃখ-তাপে গরমের জ্বালায় থাকা মানুষকে পাখার বাতাসে শীতল করেন। আর কলসের শান্তিবারি দিয়ে সংসারে শান্তি নিয়ে আসেন। তাঁর বাহন গাধা। মনে করা হয়,  গাধা নির্বিবাদে বোঝা বয়ে চলে। তেমনই দেবী তাঁর ভক্তদের বোঝা বয়ে নিয়ে যান। 


 মা শীতলার পুজোর দিনক্ষণ


শুধু বাংলায় নয়, শীতলা অষ্টমী পালিত হয়  উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং গুজরাতেও। তবে অন্য নামে। বাসোদা পুজো নামে খ্যাত মা-শীতলার পুজো। পঞ্জিকা অনুসারে এবার শীতলা অষ্টমী পড়েছে মঙ্গলবার। ভোর ৬ টা ১৯ মিনিট থেকেই শুরু হবে পুজোর সুসময়। সন্ধে সাড়ে ৬ টা অবধি পুজো দিতে পারবেন। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টার মতো সময় পাওয়া যাচ্ছে পুজো ও অঞ্জলির জন্য । আগের দিন রাত ৯ টা ০৯ থেকেই তিথি শুরু হচ্ছে। তিথি স্থায়ী হচ্ছে ২ এপ্রিল রাত ৮ টা ৮ পর্যন্ত। তবে পুজো দেওয়ার সুসময় সন্ধে সাড়ে ৬ টা অবধি। 


ব্রত পালনের রীতি 


অনেকে এদিন অরন্ধন পালন করেন। এদিন বাড়িতে আগুন জ্বালানো হয় না। আগের দিনে রান্না করা,  বাসি খাবার খাওয়ার রীতি এদিন। অনেকেই এদিন পান্তা খান, যা পেট ঠান্ডা রাখে বলে মনে করা হয়। সকালে উঠে গঙ্গা স্নান করতে পারলে ভাল।  এদিন দেবীকে  বন্দনার পাশাপাশি নিম গাছে জল নিবেদন করতে পারেন।  


আরও পড়ুন : 


রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ