সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: পুকুর সংস্কার না করেই ১০০ দিনের কাজ দেখিয়ে তোলা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। শাসকদল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই (TMC) এক নেতা। বিডিও-কে মেল করে অভিযোগ করা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন।


পুকুর চুরি! 


এ যেন আক্ষরিক অর্থেই পুকুর চুরি।  পুকুরে দিব্যি টলটল করছে জল, অথচ এই পুকুরেই সংস্কারের কাজ দেখিয়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫ এপ্রিল স্থানীয় তৃণমূল নেতার তরফে শাসকদল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে বিডিওর কাছে।   


সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে। এখানকার ১ নম্বর মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিরামপুর বুথ এলাকায় এই পুকুরে সংস্কারের কাজ দেখিয়েই টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। 


আরও পড়ুন, অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে উডবার্নে ওয়ার্ডে! বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক


কী অভিযোগ? 


অভিযোগকারীর দাবি, পঞ্চায়েত দফতরে ১০০ দিনের কাজের হিসেবের খাতায় দেখানো হয়েছে, ৯ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১৬ জন পুকুর সংস্কারের কাজ করেছেন। এই হিসেব দেখিয়ে তোলা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকার বেশি। স্থানীয় তৃণমূল নেতার অভিযোগ, সংস্কারের কাজ দেখিয়ে টাকা তোলা হলেও আদতে কোনও কাজই হয়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেফাল রানা বলেন, "দুর্নীতি হয়েছে। সংস্কারের কাজ হয়নি অথচ টাকা তোলা হয়েছে।" 


তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের চাপানউতোর।  মেদিনীপুর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি সমিতকুমার মণ্ডল বলেন, "রাজ্যের সব জায়গায় ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হচ্ছে। কোনও তদন্ত হয় না।" এদিকে, তৃণমূলের সভাপতি বলেন, "কেন্দ্রের রিপোর্টেই ১০০ দিনের কাজে আমরা এক নম্বর। এই বিষয়টি বিডিওকে বলব খতিয়ে দেখতে।" 


এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের বিডিও জানিয়েছেন, অভিযোগ এসে থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।