নয়াদিল্লি: পড়শি দেশের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পর হাতে লেখা চিঠিও পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এ বার তাঁর সেই চিঠির উত্তর দিলেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। জানালেন ভারতের সঙ্গে শান্তি এবং সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কেই আগ্রহী পাকিস্তান (India-Pakistan Relations)।


শরিফ-মোদি চিঠি বিনিময়


পাকিস্তানের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কে দিল্লি আগ্রহী বলে জানিয়ে সম্প্রতি শরিফকে চিঠি লেখেন মোদি। শনিবার ইসলামাবাদ থেকে তার উত্তর এসে পৌঁছেছে দিল্লিতে। তাতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের পক্ষেই সওয়াল করেন তিনি। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর-সহ অসমাপ্ত সমস্যাগুলিরও সমাধানের আর্জি জানান।


ইমরান খান সরকারের পতনের গত ১১ এপ্রিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। তার পরেও টুইটারে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল সম্পর্ক চায় দিল্লি।


আরও পড়ুন: Ripun Bora Joins TMC: নিজেদের মধ্যেই খেয়োখেয়ি কংগ্রেসে! সনিয়াকে চিঠি লিখে পদত্যাগ রিপুনের, পরমুহূর্তেই তৃণমূলে


সেই সময়ও মোদির শুভেচ্ছাবার্তার জবাব দিয়েছিলেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াই সর্বজনবিদিত। সমস্ত মতানৈক্যের সমাধান ঘটিয়ে আর্থ–সামাজিক উন্নয়নই লক্ষ্য হওয়া উচিত দুই দেশের। এ বার চিঠিতেও সেউ কথা তুলে ধরলেন তিনি। পাশাপাশি উপত্যকার প্রসঙ্গও ছুঁয়ে রাখলেন।


শরিফের আমলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতির আশা


বিগত কয়েক বছরে সময় যত এগিয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কও ততই তলানিতে এসে ঠেকেছে। তবে শরিফের আমলে ফের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠা নিয়ে আশাবাদী কূটনীতিকরা। কারণ নওয়াজের আমলেও ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কিছুটা হলেও ভাল জায়গায় ছিল। তার উপর শরিফ পরিবারের সঙ্গে শিকড়ের টান রয়েছে ভারতের।


দেশভাগের আগে পঞ্জাবের জাতি উমরায় বসবাস ছিল তাঁদের। শরিফ পরিবারের ছেড়ে যাওয়া বসতবাড়িতেই পরে গড়ে ওঠে গুরুদ্বার। দেশভাগের পর সেখানে একাধিকবার ঘুরেও গিয়েছেন দুই ভাই এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। এমনকি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে নিজেদের বসত বাড়ির নামও ‘জাতি উমরা’ রেখেছেন শরিফরা। তাই তাঁদের হাত ধরে পাকিস্তানে স্থিতাবস্থা ফিরলে, তা দুই দেশের পক্ষেই মঙ্গলের বলে মনে করা হচ্ছে।