কলকাতা: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এখন নানা জায়গায় নানাভাবে আলোচনা চলছে। উঠে আসছে নানা সমস্যার কথা। তেমনই একটি পরিস্থিতি হল অ্যাংজাইটি (Anxiety) বা উদ্বেগজনিত সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিশ্বের অন্তত ৭.৬ শতাংশ বাসিন্দা এই সমস্যা ভোগেন।
কী সমস্যা:
বেশ কিছু লক্ষ্মণ রয়েছে এই সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, anxiety-তে ভুগলে সারাক্ষণ স্ট্রেস বা মানসিক চাপ থাকে। উদ্বেগের সমস্যা থাকে। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকেন ওই ব্য়ক্তি। বা কোনওকিছু নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকেন। সব মিলিয়ে দৈনন্দিন কাজে প্রভাব পড়ে।
এই সমস্যা থাকলে ডাক্তার প্রয়োজন বুঝে অনেকসময় ওষুধ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও, ব্যায়াম, প্রাণায়াম-এরকম নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এই সমস্যার সুরাহা খোঁজার চেষ্টা হয়ে থাকে। কিন্তু এগুলো ছাড়াও উপযুক্ত পুষ্টিও anxiety disorder-এর সুরাহা করে থাকে। ঠিকমতো খাবার খেলে, প্রয়োজনীয় পুষ্টিপদার্থ পেয়ে থাকে এই সমস্যা এড়ানো যায়। বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার মাধ্যমে এই সমস্যায় লাগাম পরানো যেতে পারে।
সব্জি: পালংশাক, বিট, ব্রকোলি-এই ধরনের সব্জি অ্যাংজাইটি কমাতে পারে।
বেরিজাতীয় ফল: যেকোনও বেরিজাতীয় (Berry) ফলই উপকারী। বিশেষকরে ব্লুবেরি। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু খনিজ পদার্থ সুরাহা দিতে পারে।
ফার্মেন্টেড ফুড: anxiety -জনিত সমস্যা থেকে পেটের গন্ডগোল হয়ে থাকে। দই বা ওই জাতীয় খাবারে পেটের সমস্যা কমে।
বাদাম: প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্য়াসিড (amino acid) শরীরে নানা ভাবে প্রভাব ফেলে। তারই একটি হল, mood-lifting neurotransmitters যেমন সেরোটোনিন (Serotonin), অ্যাংজাইটির সমস্যায় লাগাম পরাতে পারে।
হোল গ্রেইন: খোসা সুদ্ধ শস্যদানায় (Whole Grain) ম্য়াগনেশিয়াম ও একাধিক খনিজের জোগান থাকে। যা এই সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী।
নানা মশলা: একাধিক মশলা (Herbs and Spice) এই সমস্যা কমাতে পারে। জিরে, অশ্বগন্ধা, রসুন, তেতুঁল, ল্যাভেন্ডার, লেবু, তুসলি--সবকটাই উপকারী। বিভিন্ন ভেষজ তেল বা এসেন্সিয়াল অয়েল ঘুম আনতে ও উদ্বেগ দূর করতে ভীষণ কার্যকরী।
মাছ: একাধিক তথ্য বলছে সামুদ্রিক মাছ (fish), বিশেষ করে স্যালমন Anxiety-থেকে মুক্তি মিলতে কার্যকরী।
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটে ফ্যাভোনল (Flavonol) নামের একটি যৌগ থাকে। এটি একটি উদ্ভিদ যৌগ যা অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের মতো কাজ করে থাকে। এটিও উদ্বেগ বা anxiety-র সমস্যা কমাতে কাজ করে থাকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।