সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: মাত্র ৬০ হাজার টাকায় মিলবে ওয়াশিং মেশিন, ডবল ডোর ফ্রিজ, খাট, টিভি-সহ আরও অনেক পুরনো আসবাবপত্র। খোদ ডেপুটি পুলিশ সুপারের নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগ উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapur)। যে ফাঁদে পা দিয়ে ১০ হাজার টাকা খোয়ালেন এক তৃণমূল নেতা (TMC Leader)।


মেদিনীপুর (West Midnapur) শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি চন্দ্রশেখর তিওয়ারির অভিযোগ, জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার সব্যসাচী সেনগুপ্তর নামে ফেসবুকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে, কেউ তাঁকে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, একজন CISF অফিসার বদলি হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর পুরনো আসবাবপত্র বিক্রি করতে চান।


তৃণমূল নেতা আগ্রহ প্রকাশ করায়, হোয়াটসঅ্যাপেও মেসেজ পাঠানো হয় তাঁকে। শেষমেশ ৫৫ হাজার টাকায় আসবাবপত্র কেনার চুক্তি হয়। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো, ব্যাঙ্ক আকাউন্টে ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। 


মেদিনীপুরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দ্রশেখর তিওয়ারির কথায়, ডেপুটি পুলিশ সুপারের অ্যাকাউন্ট দেখে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আমি ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েও দিই। পরে বুঝতে পারি প্রতারণার শিকার হয়েছি।


ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সতর্কবার্তা: ঘটনা জানাজানি হতে ডেপুটি পুলিশ সুপার, নিজের আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি সতর্কবার্তা দেন। জানান, তাঁর নামে অন্য কোনও অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে, কেউ যেন তাতে সম্মতি না জানায়। পুলিশ অফিসারের এই পোস্ট দেখে, নিজের ভুল বুঝতে পারেন তৃণমূল নেতা। তিনিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রতারণার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ: নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই, খাস কলকাতায় প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। জোড়াসাঁকো এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বিপ্লব জেনা, বিদ্যাধর জেনা ও সুকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রাথমিকে চাকরির মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবারই তাঁদের বিরুদ্ধে জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। অভিযোগে বলা হয়, বিপ্লব, বিদ্যাধর ও সুকুমার এক বছরে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তারপরই তিনজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে একাধিক ভুয়ো নিয়োগপত্র, নকল রাবার স্ট্যাম্প, প্রিন্টার, কম্পিউটার ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই চক্রে আরও কতজন জড়িত, তার খোঁজ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।