অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পুজোর পর থেকেই রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও। সবদিক দেখে এবার "মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন" হিসাবে ঘোষণা করা হল জেলার খড়্গপুর ও মেদিনীপুর দুই শহরের বেশ কয়েকটি এলাকাকে। মঙ্গলবার রাতে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দুই শহরের ১২ টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে। মেদিনীপুর শহরের ৩টি ও খড়্গপুর শহরের ৯ টি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে। প্রতিটি মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনেই সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী বন্ধ থাকছে গণপরিবহন , দোকান, বাজার।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৬১ জন। এর মধ্যে ১৪৫ জন রয়েছেন হোম আইসোলেশনে। ১৬ জন চিকিৎসাধীন বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। একইসাথে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত জেলায় করোনায় সুস্থতার হার ৯৭.৮৪ শতাংশ, জেলায় মৃত্যুর হার ০১.৭৪ শতাংশ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নতুন করে করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৫-৮০ শতাংশই উপসর্গহীন।
জেলার করোনা পরিস্থিতি যাতে কোনোক্রমেই হাতের বাইরে না চলে যায় সেজন্যই কিছু এলাকাকে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
Howrah: রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি নার্সের! অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা হাসপাতালে
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার যে অঞ্চলগুলিতে আজ থেকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চালু হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনগর, বাজ টাউন এবং বিধান নগর এলাকার মতো এলাকা। সেই মতো পুরসভা ও কোতোয়ালি থানার পুলিশের উদ্যোগে লাগানো হয়েছে ফ্লেক্স। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার তেমন কোন ছবি দেখতে পাওয়া গেল না এদিন। বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অধিকাংশ মানুষ। রবীন্দ্রনগর এলাকাতে উঠে এলো সেই ছবি।।