সৌমেন চক্রবর্তী, ক্ষীরপাই : স্ত্রীর হাতে খুন স্বামী  (Woman allegedly murders Husband)।খুনের পর মৃতদেহ সৎকার করে প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা। এমনই অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের  (West Midnapur) ক্ষীরপাইয়ে (Khirpai)। স্থানীয়দের তৎপরতায় মৃতদেহ উদ্ধার করল চন্দ্রকোনা থানার ক্ষীরপাই ফাঁড়ি পুলিশ।


জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত ক্ষীরপাই পুর এলাকার। জানা গিয়েছে যে,  রবিবার রাতে ক্ষীরপাই পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বামারিয়া এলাকায় গৃহবধূ রুপালী ঘোষ স্থানীয়দের চিৎকার করে ডাকেন যে, বাথরুমে যাওয়ার সময় তার স্বামীর হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এই বিপদের কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা।স্থানীয়রা পৌঁছে দেখেন, তপন ঘোষ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে নবাথরুমে।রুপালীরর কথামতো স্থানীয়রা মৃতদেহ সৎকার করারও আয়োজন করেন এবং আত্মীয়দেরও খবর দেওয়া হয়। স্ত্রীর কথামতো দেহ সৎকারের সমস্ত আয়োজনও হয়ে যায়। কিন্তু দেহ সৎকার করতে যাওয়ার সময় মৃতদেহের গলায় ক্ষত, দড়ির চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর পুলিশে খবর দেন মৃতের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরাও ছুটে আসেন।  মৃতার স্ত্রী অভিযুক্ত রুপালী ঘোষের সাথে স্বামীর নিয়মিত অশান্তি হত বলে জানা গিয়েছে।বাড়িতে নাবালক এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার মৃত পেশায় চাষী তপন ঘোষের। পরিবারের সদস্যদের দাবি তপনের স্ত্রী রুপালীর বিবাহবহির্ভূত একাধিক সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই এই খুন বলে পরিবারের দাবি।


পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আটক করা হয় মৃতের স্ত্রী রুপালি ঘোষকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসবে বলে জানিয়েছে পুলিশের।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রুপালীর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল না কিনা, জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। আটক রুপালীকে জেরা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।