হাঁসখালি: ‘সেই রাতে ঠিক কী হয়েছিল? কোথায় ছিলেন ঘটনার সময়?’ হাঁসখালিকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের বাবাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এদিন প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে ব্রজর বাবা সমরেন্দ্র গয়ালিকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চলে। মূল অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালি। কৃষ্ণনগরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নাবালক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার: উল্লেখ্য, হাঁসখালিকাণ্ডে (Hanskhali) এক নাবালক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে CBI। ধৃতরা মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি ও তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ।
কী অভিযোগ? নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করে খুনের অভিযোগে, আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেতার ছেলে মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি -সহ তিনজন। এবার এক নাবালক-সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল CBI। তাঁদের বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারকে হুমকি এবং তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার অভিযোগ রয়েছে।
ধৃতরা তৃণমূল নেতার ছেলে, ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সিবিআই সূত্রে দাবি, তারা তদন্তভার নেওয়ার পরই একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়, যেখানে ব্রজকে নির্দোষ দাবি করে, অন্য একজনের নাম নিয়ে দোষী বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, তদন্তকে ভুল পথে চালিত করতেই অডিও ক্লিপটি তৈরি করা হয়েছিল।
নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালিতে (Hanskhali) নাবালিকার দেহ (Minor Body) পুড়িয়ে দিল কারা? উত্তর পেতে মরিয়া সিবিআই (CBI)। কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতিতার গোটা পরিবারের বয়ান রেকর্ড করলেন গোয়েন্দারা। এদিকে গতকালই এই কাণ্ডে জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে রিপোর্ট দিল বিজেপির (BJP) তথ্য অনুসন্ধান কমিটি।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু? হাঁসখালির (Hanskhali) নির্যাতিতার মৃত্যু কি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে? না তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার পর, ফের এই সন্দেহ প্রকাশ করল দলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। রামপুরহাটের হত্যাকাণ্ডের পর হাঁসখালিতে নাবালিকার গণধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করেছেন জে পি নাড্ডা। ১৫ এপ্রিল হাঁসখালিতে যান কমিটির সদস্যরা।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি: সেদিনই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য এবং এরাজ্যের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী প্রথম প্রশ্ন তোলেন, যে নির্যাতিতাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়নি তো? ৫ দিন পর, দিল্লিতে সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর, ফের সেই সন্দেহ প্রকাশ করলেন তিনি।