কলকাতা : ২১-এর বিধানসভা ভোটে ( Assembly Election 2021 ), ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জেতা সাগরদিঘি ( Sagarrdighi )  আসনটি  উপনির্বাচনে তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বাম-কংগ্রেসের জোট! এরপরই বহরমপুরের সাংসদ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে আক্রমণের পথে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee )  
 
প্রথমে তিনি কংগ্রেসকে ( Congress )  আক্রমণ করে বলেন,  ' অধীর চৌধুরীকে  ( Adhir Chowdhury ) বলতে চাই যে - তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন কংগ্রেস, বিজেপি ( BJP ) এবং সিপিএম ( CPM 0  - সবাই আমাদের সাহায্য করেছে। সত্যিটা বলার জন্য ধন্যবাদ। ইমমরাল অ্যালাইন্স। তাহলে কংগ্রেস কীভাবে বিজেপির লড়বে, বামেরা কীভাবে বিজেপির সঙ্গে লড়বে? তাঁরা যদি বিজেপির সাহায্যে মমতাকে হারাতে চায়, তাহলে কীভাবে তাঁরা অ্যান্টি বিজেপি?  '



আরও পড়ুন :


'হোয়াটস অ্যাপ করলেই দীপক ঘোষের লেখা বই' মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণের পরেই কৌস্তভের বিরুদ্ধে কোন কোন ধারায় অভিযোগ ?


সাগরদিঘি জয়ের পর অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তৃণমূল মুসলমানের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। এটা তারা জানে। তারা বিজেপির দালালি করে। ভারতের মুসলমানরা জানেন।' এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার এরকম মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত নয়। সংখ্যালঘুদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি বললাম না, বিজেপির ভোট ট্রান্সফার হযেছে। সাগরদিঘির ভোটে, বগটুইয়ের প্রসঙ্গ কেন আসবে? বগটুইয়ের ঘটনা যে ঘটিয়েছে, তাকে তো সিবিআই মেরে ফেলেছে। পাবলিক বিচার পেল কোথায়? কি অফার এসেছিল আমরাই তো জানতে চাই, বিজেপির টাকা ছিল কি না? আমি তো নিজে গেছিলাম, টাকা, চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেটা তৃণমূল করেনি?  তিনি  আরও বলেন,  ' এত বড় বড় কথা বলছে। তাঁর মেয়ের আত্মহত্য়া নিয়ে আমি যদি জিজ্ঞেস করি, কিছু বলতে পারবে? তাঁর গাড়ির ড্রাইভারের আত্মহত্য়া, খুন নিয়ে যদি আমি বলি জোড়া খুন, কিছু বলতে পারবে? অনেক ঘটনা আমি জানি, আমার মুখ খোলাবেন না। '  


এরপরই তার জেরে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা আক্রমণের পরেই, আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ।


একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কৌস্তভের ( Koustav Bagchi )দাবি, রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর। কৌস্তভকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন, এভাবে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না, গ্রেফতারির পর প্রতিক্রিয়া কৌস্তভ বাগচীর।