বিজেন্দ্র সিংহ, কলকাতা: প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারির পরেও কেন কার্যকর নয়, গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case)  অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গরহাজিরায় প্রশ্ন আদালতের।  আগামী সপ্তাহের মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হলফনামা তলব রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের। দিল্লি হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বলে জানাল ইডি। স্থগিতাদেশ না থাকলেও কেন অনুব্রতকে হাজির করানো হল না, তাতে ইডি-কে পাল্টা প্রশ্ন করে আদালত।


আগামী সপ্তাহের মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হলফনামা তলব


মঙ্গলবার গরুপাচার মামলার শুনানি ছিল। শুনানি চলাকালীন, বাকিদের বিচারবিভাগীয় হেফাজত থেকে পেশ করা হয়। তা বর্ধিতও হয়েছে। সেখানেই এ দিন অনুব্রতর গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। গত ১৯ ডিসেম্বর ওয়ারেন্ট জারি করার পরও কেন এখনও পর্যন্ত অনুব্রতকে পেশ করা হল না আদালতে, জানতে চায় আদালত। কেন আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হল  না, প্রশ্ন তোলা হয়। 


এর জবাবে ইডি জানায়, অনুব্রত রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছেন। সেখানে এখনও রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়নি। তাতে পাল্টা প্রশ্ন তোলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। বিচারক জানতে চান, স্থগিতাদেশ যখন আসেনি, তাহলে কেন অনুব্রতকে আদালতে হাজির করানো হল কেন? কেন কার্যকর করা হল না আদালতের নির্দেশ?


আরও পড়ুন: SSC Case: টাকা জুগিয়েছেন সাধারণ মানুষই, দুর্নীতির দায়ও তাঁদেরই, দাবি গোপালের


এ দিন ইডি-র কাছে আদালত জানতে চায়, আসানসোল জেলে গিয়ে যাঁকে গ্রেফতার করল ইডি, তার পর এত দৌড়াদৌড়ি, কেন তাঁকে আদালতে পেশ করা হল না। তাতে ইডি-র তরফে এ দিন আদালতে সময় চাওয়া হয়। এর পর ইডি-কে এক সপ্তাহ সময় দেয় আদালত। তার মধ্যে লিখিত হলফনামা জমা দিতে বলা হয়, যাতে অনুব্রতকে পেশ না করার কারণ জানাতে হবে। 


দিল্লি হাইকোর্টে আগামী ১৭ মার্চ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে অনুব্রতর আবেদনের


এ দিকে, দিল্লি হাইকোর্টে আগামী ১৭ মার্চ শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে অনুব্রতর আবেদনের। এর আগে, ২১ ডিসেম্বরের শুনানির সময়ই মৌখিক ভাবে ইডি জানিয়েছিল, আদালত স্থগিতাদেশ দেয়নি। তারা অনুব্রতকে পেশ করার নির্দেশ কার্যকর করবে না আপাতত। কিন্তু স্থগিতাদেশ নেই যেখানে, সেখানে অুনুব্রতকে কেন হাজির করানো হল না, প্রশ্ন রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের।