কলকাতা: মানিক-পুত্রের জামিন মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির। শেক্সপিয়রের হ্যামলেটের উপমা টেনে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। 'পশ্চিমবঙ্গে কোথাও একটা পচন ধরেছে'। 'এই দুর্নীতির প্রধান নায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য'। 'মানিকের দুর্নীতিতে তাঁর স্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকা আছে, তিনি সব জানতেন'। 'লোকে বলছে লন্ডনে তাঁদের বাড়ি আছে'। 'সম্পত্তি-জনিত কারণেই ২ বার ইংল্যান্ডে যান মানিক-পুত্র সৌভিক'। '২০১৭-র ৯ জুলাই রেসিডেন্সিয়াল পারপাসে ইংল্যান্ডে যান সৌভিক'
'যদিও বিষয়টি ইডির কাছে গোপন করেন মানিক পুত্র'। আদালতে বিস্ফোরক দাবি ইডির আইনজীবীর। 'তাতে কি এটা প্রমাণিত হয়, তাঁদের ইংল্যান্ডে বাড়ি আছে?', প্রশ্ন বিচারকের। 'নিশ্চয় বাড়ি আছে, না হলে কেন রেসিডেন্সিয়াল পারপাসে ভিসার আবেদন করবেন'। সওয়াল ইডি-র আইনজীবীর। 'মানিকের লন্ডনে সম্পত্তি আছে কিনা জানতে বিদেশমন্ত্রককে চিঠি ইডির'। চিঠি পাঠানো হয়েছে অভিবাসন দফতরেও: সূত্র। মানিক-শতরূপা-পার্থ এই ত্রিভুজ কাজ করেছেন। 'মলদ্বীপ থেকে ভিয়েতনাম, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে'।আদালতে দাবি ইডির আইনজীবীর। এত অভিযোগ থাকলে গ্রেফতার করেননি কেন? ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারকের
বিদেশ সফর নিয়ে তথ্য গোপন করেছেন মানিক-পুত্র সৌভিক, দাবি ইডির। 'অভিবাসন দফতরে দেওয়া সৌভিকের বয়ানের সঙ্গে ইডি-র কাছে দেওয়া বয়ান মিলছে না'। '২০১৭-র মে ও জুলাই মাসে ২ বার লন্ডন যান মানিক-পুত্র সৌভিক'। 'প্রথমে লন্ডন যাত্রার কথা গোপনের চেষ্টা করেন সৌভিক'। 'পাসপোর্ট দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলে লন্ডন যাত্রার কথা ভুলে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন' 'পরে দাবি করেন পড়াশোনার কারণে লন্ডন গিয়েছিলেন মানিক-পুত্র'। যদিও অভিবাসন দফতরে জানিয়েছিলেন লন্ডন-যাত্রা 'রেসিডেন্সিয়াল পারপাসে', দাবি ইডির। কেন তথ্য গোপন করেছিলেন সৌভিক, জানতে চাইছে ইডি, খবর সূত্রের