দোমহনি: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Guwahati-Bikaner Express) লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আজ তদন্ত শুরু করছেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। দুর্ঘটনার কারণ জানতে ইঞ্জিনের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ১৪০ টনের ব্রেক ডাউন ক্রেন।


ক্রেনের সাহায্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ট্র্যাকে তুলে অন্যত্র নিয়ে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হতে পারে। ইঞ্জিন সরিয়ে, এই লাইনে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু করার জন্য যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ করছেন রেল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের ওই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।


ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে। মৃত্যু হয়েছে ৯ যাত্রীর। আহত ৪০ জনেরও বেশি।  কেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ল আপ বিকানের এক্সপ্রেস (Guwahati-Bikaner Express Derailed)? ত্রুটি কোথায়? রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের নেতৃত্বে খোঁজ চালাবে রেলের তদন্তকারী দল। যদিও বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সরব সিবিআই তদন্ত দাবিতে। তা নিয়ে শুরু তরজা। এদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালকের বিরুদ্ধে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক যাত্রী।


ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরে ময়নাগুড়ির দোহমনিতে ধ্বংসের ছবি! কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে রেল। আপ বিকানের এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে এদিন রাজস্থানের ২ মন্ত্রীকে দোমহনিতে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে রেলের আধুনিকীকরণের বিষয়টি নিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন।


রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত আপ বিকানের এক্সপ্রেসের কামরাগুলো, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি পুরনো কোচ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এক্ষেত্রে লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা LHB কামরা থাকলে কি ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হত? 


উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানিয়েছে, সব ড্যামেজ কোচ। তদন্ত হবে না আমরা জানি। চাই তদন্ত হোক।


রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথায়, এখন শুধু LHP কোচের উৎপাদন হচ্ছে, ICF কোচ হচ্ছে না, সেটা খুব দ্রুত ফেজ আউট করা হচ্ছে। এটা কোচের ইস্যু নয়, এটা লোকোমোটিভ ইক্যুইপমেন্টের ইস্যু।  


এদিনই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের ইঞ্জিন ও ট্র্যাক সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন তিনি।


রেলওয়ে সেফটি কমিশনার লতিফ খান জানিয়েছেন, ইঞ্জিন, বগি এবং রেলট্র্যাক, রক্ষণাবেক্ষণ-সহ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে, কাল থেকে এনকোয়ারি শুরু হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল? কোথায় গাফিলতি? কার দায়? এসব নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।