কলকাতা: চিন (China)-সহ বিভিন্ন দেশে ফের ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা (Corona)। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কলকাতায় ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নিতে মানুষের মধ্যে অনীহা থেকেই গেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের তুলনায় অনেক কম মানুষ নিয়েছেন বুস্টার ডোজ (Booster Dose)। দাবি মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্যের।
বিনামূল্য়ে করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়ার জন্য সেন্টার আছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। কিন্তু, যাদের জন্য এই ব্যবস্থা, সেই সাধারণ মানুষের সেভাবে দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী ওমিক্রনের (Omicron) সাব ভ্য়ারিয়েন্ট BF.7-র হানায়, চিন-সহ বিভিন্ন দেশে যখন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি, তখনও ভ্য়াকসিনের বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিতে অনীহার এই ছবিটা বদলায়নি বলেই কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। নতুন করে করোনার আতঙ্ক মাথাচাড়া দেওয়ায়, যখন বুস্টার ডোজের উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখন কলকাতায় দেখা যাচ্ছে তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন নাম মাত্র কিছু মানুষ।
করোনার বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিতে অনীহা! কলকাতায় (Kolkata) ভ্য়াকসিনেশন সেন্টারে ভিড় নেই! কলকাতা পুরসভার তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ কোটির বেশি। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ কোটির কম। যেখানে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র দেড় কোটির কিছু বেশি। কিন্তু কেন এই অবস্থা? একদিকে বুস্টার ডোজের পর্যাপ্ত যোগান থাকা সত্ত্বেও, তা নিতে মানুষের মধ্যে অনীহা, অন্যদিকে, আবার নির্দিষ্ট কিছু ভ্যাকসিনের যোগানের অভাব রয়েছে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কথায়, কেন্দ্র পাঠাচ্ছে। এখানে নেই কেন? নিচ থেকে ওপর খতিয়ে দেখা উচিৎ। কেন্দ্র কোথাও অভাব রাখেনি। চীন ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছে। তাই বিপদ বেড়েছে। আমাদের রাজ্যে ভুয়ো সরকার চলছে। শুধু আওয়াজের ওপর আছে। অনেকে এখনও একটাও ভ্যাকসিন নেননি। তাদের সরকারের বোঝান উচিৎ।
একদিকে বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের মধ্যে অনীহা। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের যোগান নিয়ে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু, BF.7 যেভাবে চিন্তা বাড়িয়েছে, সেখানে ভ্যাকসিনেশন যে অত্য়ন্ত জরুরি, তা স্পষ্ট চিকিৎসকদের কথাতেই। এই যাত্রায় এখনও করোনা ভারতে ভয়ঙ্কর চেহারা নেয়নি। কিন্তু, চিকিৎসকরা বলছেন, সাবধানতার মার নেই।
নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। কিন্তু পরপর দু-দিন ছুটি থাকায়, গতকালের পর আজও বন্ধ থাকল কলকাতা পুরসভার ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলি। একই কারণে বন্ধ ছিল টেস্ট সেন্টারগুলিও। যা নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছে শাসকদল।