কলকাতা: 'অমিত শাহর (Amit Shah) ছেলে (Son) বোর্ডে (BCCI) আছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly) বাদ কোন উদ্দেশ্যে', রাখঢাক না করে স্পষ্ট প্রশ্ন (question) মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আইসিসি-র ভোটে সৌরভকে লড়তে দেওয়া হোক।
কী বললেন মমতা?
উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশবাসী তথা পুরো বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষ থেকে বলছি, সৌরভ আমাদের গৌরব। মাঠে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, প্রশাসনও চালিয়েছেন। তিনি বিসিসিআই সভাপতি ছিলেন। আদালত একটা নির্দেশ দিয়েছিল যাতে ওঁকে তিন বছরের মেয়াদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অমিত শাহের জয় শাহ-কেও ৩ বছরের মেয়াদ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন জানি না, অমিত শাহের ছেলে রয়ে গেলেন, তা হলে সৌরভকে বাদ দেওয়া হল কোন উদ্দেশ্যে?' এতেই শেষ নয়। মমতার সংযোজন, 'আমি এখনও মনে করি, ওঁকে যে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে এটার একমাত্র ক্ষতিপূরণ হতে পারে আইসিসি। ভারত থেকে মাত্র ১-২ জন আইসিসি-তে যাওয়ার যোগ্য। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিনীত অনুরোধ করব, সৌরভকে আইসিসি-র ভোটে লড়তে দেওয়া হোক। ওঁর সঙ্গে বঞ্চনা করা হচ্ছে। কেন বঞ্চনার শিকার সৌরভ?' ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। বলেন, 'সকলে ওঁকে চেনে, গোটা পৃথিবী ওঁর কথা জানে। আমরা ওঁকে নিয়ে গর্বিত। শুধু বাংলা নয়। উনি পুরো দেশ তথা পৃথিবীর অহংকার।' তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্য, 'সরকারকে অনুরোধ, রাজনীতি করবেন না। প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। উনি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। ক্রিকেট, খেলাধুলোর কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিন।'
বিতর্কের প্রেক্ষাপট...
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষপদ থেকে সরে যেতে কার্যত বাধ্য হচ্ছেন সৌরভ, এমন জল্পনাই তুঙ্গে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। ক্রিকেট প্রশাসনে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তবে বঙ্গ ক্রিকেটের অন্দরমহলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিএবি-র মসনদে ফিরতে পারেন তিনি। প্রেসিডেন্ট পদে জমা দিতে পারেন মনোনয়ন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে যদিও জানিয়েছিলেন, আজীবন কেউ ক্রিকেট প্রশাসনে থাকবেন না। সেই সঙ্গে তাঁর আমলে ভারতীয় ক্রিকেট যে উজ্জ্বল পথে গিয়েছে, তাও তুলে ধরেছিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। গত বৃহস্পতিবার বন্ধন ব্যাঙ্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ঘোষণা করা হয় সৌরভকে। সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'নিজে ক্রিকেট খেলেছি। ক্রিকেট প্রশাসনও সামলেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি যে, ক্রিকেট প্রশাসকের কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ। তবে একসঙ্গে অনেক কিছু করতে হয়। আমি খুব ভালবাসি এই কাজটা। যদি গত তিন বছর ভারতীয় ক্রিকেটের দিকে দেখেন, দেখবেন অনেক কিছু ভাল হয়েছে।' তবে এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর হয়ে যে ভাবে সওয়াল করেছেন, তাতে ফের প্রাসঙ্গিক গোটা বিতর্ক।
আরও পড়ুন:উৎসবের মরসুমে ওমিক্রনের নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্টের লালচোখ, খেয়াল রাখুন এই দিকে