নয়াদিল্লি: ফের লালচোখ দেখাচ্ছে নভেল করোনাভাইরাস। 'সৌজন্যে' ওমিক্রনের একেবারে সাম্প্রতিকতম সাব-ভ্যারিয়্যান্ট বিএ.৫.১.৭ এবং বিএফ.৭। এর মধ্যে অত্যন্ত সংক্রমণপ্রবণ বিএফ.৭ সাব-ভ্যারিয়্যান্টের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ভারতে, বলছে গুজরাত বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের রিপোর্ট। বিশেষজ্ঞদের বড় অংশের আশঙ্কা, অতীতে করোনা-সংক্রমণ হয়ে থাকলেও এই নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্টের আক্রমণ থেকে রেহাই নাও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে ফের নতুন ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। তাই উৎসবের মরসুমে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।


কী জানা গেল?
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, 



  • গত ১১ অক্টোবর চিনের একাংশে এই দুটি সাব ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

  • দেখতে দেখতে চিনের বেশ কিছু জায়গায় সেটি ছড়িয়ে পড়েছে

  • গত দু-সপ্তাহে আমেরিকায় এই দুটি সাব ভ্যারিয়্যান্টের প্রিভালেন্স রেট দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।

  • ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সে অন্তত ১৫-২০ শতাংশ আক্রান্তের দেহে ওমিক্রনের এই দুটি সাব ভ্যারিয়্যান্টের খোঁজ পাওয়া যায়।

  • যে কোনও ধরনের ভাইরাসের যখন মিউটেশন হয়, তখন সেটি আরও বেশি সংক্রমণপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে।

  • সেক্ষেত্রে অতীতে একই ভাইরাসের অন্য প্রজাতির প্রকোপে আক্রান্ত হলেও সব সময় তা প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ নাও করতে পারে।

  • এসব ক্ষেত্রে শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির সঙ্গেও ছলনা করতে পারে নতুন সাব-ভ্যারিয়্যান্ট।

  • টিকা নিয়েও সব ক্ষেত্রে কাজ হয় না।  

  • উপসর্গ কম-বেশি একই রকম, তবে সময়ের সঙ্গে নতুন কিছু দেখা দিতে পারে।


প্রতিরোধের উপায়...
উৎসবের মরসুমে, বিশেষত দীপাবলির সময়ে বহু মানুষের জমায়েত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাই নতুন সাব-ভ্যারিয়্যান্টের পোয়াবারো হতে পারে, ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এমন হলে নতুন ঢেউয়ের ধাক্কা আছড়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছেই। তার উপর শীতকাল সমস্যা কিছুটা বাড়াতে পারে। এমনিতেই এই সময়ে বুকে সর্দি জমার সমস্যা, গলা খুসখুস এগুলি বাড়তে চায়। তার মধ্যে নতুন সাব ভ্যারিয়্যান্টের প্রকোপ ছড়াতে শুরু করলে ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে গোটা দেশের ছবিটা পাল্টে যেতে পারে, মনে করছেন কেউ কেউ। সেক্ষেত্রে বিপদের কারণ থাকছেই। বিশেষত যাঁদের ক্যানসার বা কোনও ধরনের বড় অসুস্থতা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি যে বিপজ্জনক হয়ে উঠবে না, তা নিশ্চিত ভাবে বলার উপায় নেই। অতএব সাবধানের মার নেই। আপাতত তাই কিছু নিয়ম মানতে পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারদের অনেকে। যেমন,



  • যত কম সংখ্যক মানুষের সঙ্গে দেখা করা যায়, তত ঝুঁকি কম

  • হ্যান্ড-হাইজিন মেনে চলতেই হবে। সাবান এবং জল দিয়ে ভাল করে হাত ধোয়া জরুরি।

  • মাস্কের ব্যবহার ফেরাতে হবে। করোনার নতুন প্রজাতি তো বটেই, দীপাবলির সময়ে দূষণ রোধেও দারুণ কার্যকরী হবে এটি।

  • রোগের উপসর্গ থাকলে অবিলম্বে পরীক্ষা করান। তার আগে নিজেকে আইসোলেট করুন।


সব মিলিয়ে বার্তা একটাই। সতর্ক থাকুন, তবে ভয় পাবেন না। 


আরও পড়ুন:বিধানসভা ভোটের ১ বছর পরও ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী, পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন নিশীথ