সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: আবার নোট বাতিল, ফের বিক্ষোভ তৃণমূলের (TMC)। ৩০ সেপ্টেম্বরের পর আর চলবে না ২০০০ টাকার নোট। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ঘোষণা করেছে দু হাজার টাকার নোট তুলে নেওয়া হবে।নোট বন্দীর পর আবার সমস্যায় পড়বে সাধারণ মানুষ।প্রতিবাদে শেওড়াফুলিতে রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের।


২০১৬ সালে একা হাজার ও পাঁচশ টাকা বাতিল ঘোষণা করেছিল মোদি সরকার। রাতারাতি সেই নোট বাতিল সমস্যায় ফেলেছিল দেশবাসীকে। দু হাজার টাকার নোট চালু করা হয়েছিল পরিস্থিতি সামাল দিতে। সাড়ে ছয় বছর পর সেই দু হাজার টাকার নোটও বাতিল করা হচ্ছে।এই ধরনের সিদ্ধান্ত তুঘলকি বলে মনে করে তৃণমূল।আজ শেওড়াফুলিতে স্টেট ব্যাঙ্কের সামনে হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় জয়হিন্দ বাহিনী। বৈদ্যবাটি পুরসভার তৃনমূল কাউন্সিলর ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ২ হাজারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদি সরকারকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন,‘২ হাজারের নোট বাতিল করে ফের খামখেয়ালি ও তুঘলকি আচরণ। ২০০০ টাকার নোট বাতিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ’ ‘এই সরকারের ঘনিষ্ঠ পুঁজিপতি গোষ্ঠীর কাজ আড়াল করতেই আচমকা এই সব পদক্ষেপ। উপযুক্ত সময়ে মানুষ এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের কাজের হিসেব বুঝে নেবে’, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 


এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে বাজার বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলেন, 'অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না। কারণ ইতিমধ্যেই ২০০০ এর নোট ছাপা আরবিআই বন্ধ করে দিয়েছিল। নোট ইন সার্কুলেশন ধীরে ধীরে অবলুপ্তির পথেই গিয়েছিল। ব্যাঙ্কের এটিএম কিংবা কাউন্টারেও পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রাহকদের চাহিদায় কেবল তা দেওয়া হত। সমস্যা একটাই অনেক মধ্যবিত্তর কাছে হয়ত এই টাকা রয়ে গেছে। তবে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। ডিমনিটাইজেশনের কালো সময় হয়ত ফিরবে না। ব্যাঙ্কের কর্মীদের সচেষ্ট হতে হবে। এখন অনেকটাই সময় আছে হাতে।' তিনি এও বলেন, কী কারণে এই নোট বাতিল হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, যখন এই নোট চালু করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এখানে চিপ জাতীয় কিছু থাকবে। আগামী দিনে জাল ২০০০ নোটের বাড়বাড়ন্ত রুখতে। সাধারণ মানুষ এই নোট নিতে আকৃষ্ট হতেন না। খুচরো ব্যবসায়ীদের জন্যও এই নোট সমস্যা তৈরি করেছিল। 


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, হঠাৎ পুরনো ৫০০-র নোট ও ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করে মোদি সরকার। তারপর নোটবন্দি নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। RBI-এর দাবি, সেই পরিস্থিতিতে দেশীয় বাজারে নোটের যোগান সামাল দেওয়ার জন্যই ২০১৬ সালের নভেম্বরে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট এনেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাজারে যত পরিমাণ ২ হাজার টাকার নোট রয়েছে, তার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭-র মার্চের আগে ছাপা হয়।