হিন্দোল দে, কলকাতা: দুই বাইকের রেষারেষিতে অষ্টমীর ভোরে প্রাণ গেল অষ্টাদশী তরুণীর। দুর্ঘটনার (Road Accident) জেরে মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী রোশনি খানের। রবিবার, অষ্টমীর দিন, ভোর ৫টা নাগাদ গড়িয়ার (Garia Kamalgazi) কামালগাজি উড়ালপুলের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। বাইক চালাচ্ছিলেন দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আকাশ মণ্ডল। বাইক থেকে পড়ে পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে ওই তরুণেরও। অন্য মোটরবাইকটির খোঁজ চালাচ্ছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ (Narendrapur Police Station)।


কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা:
সপ্তমীর রাতে ঠাকুর দেখে এক বন্ধুর বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া রোশনি। পাশ থেকে আরেকটি বাইক ধাক্কা মারে তাঁদের বাইকটিকে। সেই দুর্ঘটনার অভিঘাতে মোটরবাইক থেকে উড়ালপুলের ডিভাইডারের ওপর আছড়ে পড়েন রোশনি। সেই সময়েই তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বালিয়ার সাহাপাড়ার বাসিন্দা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাইক চালক আকাশ মণ্ডল দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে ওই তরুণেরও।                     


পুজোর মধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা শহরের ট্রাফিক পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। পুজোর জন্য দিনভর পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে শহর ও লাগোয়া এলাকায়। কিন্তু ভোরবেলায় কি তেমন পুলিশ ছিল না? তার ফাঁকেই এমন বেপরোয়া বাইক-দৌড়? বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর খেসারত দিলেন ওই তরুণী। গুরুতর আহত তাঁর সঙ্গী আরোহীও।


সপ্তমীর রাতেও পথ-হিংসা:
পুজোর আনন্দের মধ্যেই হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সপ্তমীর রাতে। পুজোর রাতে রেষারেষিকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। গাড়ি ভাঙচুর থেকে মারধর বাদ যায়নি কিছুই। সল্টলেকের সুকান্তনগরে দুটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিল বলে খবর। অভিযোগ, একটি গাড়ির কয়েকজন চড়াও হয় অপর গাড়ির যাত্রীদের ওপর। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচ, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ গাড়ির তিন আরোহীকে। পরে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ এসে আক্রান্তদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভাঙচুর হওয়া গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ। সিসিটিভির সূত্র ধরে খোঁজ চলছে অপর গাড়িটির।           


আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের পাড়ার পুজোয় অঞ্জলি রাজ্যপালের, হল আলাপচারিতাও