ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ভর সন্ধেয় মানিকতলায় (Maniktala Murder) কুপিয়ে খুন! ক্ষুদিরাম পল্লিতে যুবককে কুপিয়ে খুন! মুদির (grocery store) দোকানের শাটার খোলা নিয়ে বিবাদের জেরে হামলা, বলে অভিযোগ। গ্রেফতার মুদির দোকানের মালিক। 


যা জানা গেল...
ক্ষুদিরাম পল্লির বাগমারি রোড এলাকায় সন্ধে ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ধৃত মুদির দোকানের মালিকের নাম আকাশ রায়। প্রাথমিক ভাবে যা জানা গিয়েছে, তাতে অভিযোগ, পেশায় রিকশাচালক ঋজু দে-কে খুন করে সে। দোকানের শাটার বন্ধ করা নিয়ে বিবাদ চলছিল দু'জনের মধ্যে যা কিনা চরমে পৌঁছয়। বিবাদের মধ্যেই ঋজুকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে আকাশের বিরুদ্ধে। 


সপ্তাহতিনেক আগেই এক ঘটনা শহরে...
চলতি মাসের গোড়ার দিকেই রাতের শহরে এক তরুণকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার দীনেশনগরের ঘটনা। মৃত বছর ২৫-এর প্রসেনজিৎ দাস, পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান, পূর্ব পুটিয়ারির দক্ষিণ আনন্দপল্লির বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে প্রতিবেশী যুবক কৌশিক বারুইয়ের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। বন্ধুদের মধ্যস্থতায় তখনকার মতো ঝামেলা মিটলেও, অভিযোগ রাত ১১টা নাগাদ প্রসেনজিৎ বাড়ি ফেরার সময়ে তাঁর উপর চড়াও হন কৌশিক। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় মৃতের আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ দেখায়, লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিযুক্ত কৌশিক বারুইকে আটক করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। রাতের শহরে বন্ধুকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধ। বাঁশদ্রোণী থানা (Bansdroni Police Station) এলাকার দীনেশনগরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মদের আসরে একটি ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর ঝামেলা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্ধু চল.এই কথা বলে, যাঁর হাত ধরে চলে যাওয়া যার বহু দূর, সেই বন্ধুর হাতেই বন্ধু খুনের অভিযোগ! পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাদের কেন্দ্রে এক বন্ধুর বান্ধবীর ছবি। দীনেশনগরে মদের আসরে বন্ধু কৌশিক বারুই-এর সঙ্গে ছিলেন প্রসেনজিৎ-সহ কয়েকজন। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মদের আসরে ফেসবুকে কৌশিকের বান্ধবীর ছবি দেখছিলেন প্রসেনজিৎ। ছবি দেখাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর ঝামেলা হয়। তখনকার মতো ঝামেলা মিটেও যায়। অভিযোগ, গভীর রাতে বাড়ি ফেরার সময় প্রসেনজিতের ওপর চড়াও হন কৌশিক। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় প্রসেনজিৎকে। রক্তাক্ত অবস্থায় আহতকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।  ঘটনার প্রতিবাদে মৃতের আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা রাতেই বাঁশদ্রোণী থানায় বিক্ষোভ দেখান।