নয়াদিল্লি: নাম চূড়ান্ত হয়েছিল আগেই। বৃহস্পতিবার সিবিআই প্রধান (CBI Chief) হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বও নিলেন বর্ষীয়ান আইপিএস অফিসার (IPS Officer) প্রবীণ সুদ (Praveen Sood)। গত ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী প্রবীণের নামে সিলমোহর দেন। ১৯৮৬ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার সুবোধ কুমার জয়সওয়ালের থেকে এদিন তাঁর দায়িত্ব বুঝে নেন।
কী হল আজ?
সূত্রের খবর, আজ CBI-র বর্ষীয়ান অফিসারদের সঙ্গে আলাপ-পরিচয় পর্ব সারেন প্রবীণ। এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিভিন্ন শাখা ও কার্যকলাপের সঙ্গেও পরিচয় করানো হয় তাঁর। সিবিআই যখন একাধিক হাইভোল্টেজ মামলার তদন্তে ব্যস্ত, এমন সময়েই প্রবীণ সুদ এই নতুন ডিরেক্টরের পদের দায়িত্ব নিলেন। তবে এর আগে কর্নাটক পুলিশের প্রধান পদের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। তার আগে বেল্লারি এবং রায়চুড়ের এসপি হিসেবেও কাজ করেন। তা ছাড়া, মরিশাসে সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজেরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সিবিআইয়ের নয়া অধিকর্তা আইআইটি দিল্লি থেকে স্নাতক স্তরের লেখাপড়া শেষ করার পর আইআইএম বেঙ্গালুরু ও ম্যাক্সওয়েল স্কুল অফ গভর্নেন্স থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১১ সালে তাঁকে প্রেসিডেন্ট'স পুলিশ মেডেল সম্মান দেওয়া হয়। তবে সিবিআই প্রধান পদে প্রবীণ সুদের নাম চূড়ান্ত হওয়া নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
কী নিয়ে সংঘাত?
পরবর্তী CBI প্রধান চয়ন করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল, সেখানে বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ওই কমিটির কাছে তিন জনের নামের সুপারিশ জমা পড়ে। তালিকায় ছিলেন কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান। এই চয়নপ্রক্রিয়া নিয়েই আপত্তি তোলেন অধীর। শুধু তাই নয়, একই দিনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্য একটি কমিটির বৈঠকে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগের বৈঠকও হয়। সেখানের কার্যপ্রক্রিয়া নিয়েও আপত্তি তোলেন তিনি। দিল্লি সূত্রে খবর, পরবর্তী CBI প্রধান হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং থেকে প্রায় ১১৫ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল, যাঁরা প্য়ানেলের অংশ নন, এমন কিছু নামও ছিল। অধীরের দাবি, যে তিনজনকে দৌড়ে রাখা হয়েছে, তাঁদের সার্ভিস রেকর্ড-সহ অন্য নথিপত্র এবং তথ্য দেওয়া হয়নি তাঁকে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও ওই কমিটির অংশ, যারা CBI প্রধান নিয়োগ করে। ভিজিল্যান্স কমিশনার নিয়োগকারী কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অধীরের আপত্তি শুনে প্রধান বিচারপতি অভিজ্ঞতাকে মাপকাঠি হিসেবে ধরার পরামর্শ দেন। তাতে যে নামের তালিকা উঠে আসে, তা নিয়েও আপত্তি জানান অধীর। তালিকায় অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নতুন করে তালিকা তৈরির দাবি জানান। মহিলা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকেও কিছু নাম তালিকায় রাখার সুপারিশ করেন অধীর। শেষমেশ অবশ্য প্রবীণ সুদের নামেই সিলমোহর পড়ে।
আরও পড়ুন:কাজের জায়গায় সুখবর পেতে পারেন কারা ? কেমন যাবে আজকের দিন ?