ক্যানিং: মদ (Drinking Alchohol) ও জুয়া (Gambling) খেলার প্রতিবাদ করায় প্রতিবাদী যুবককে (Youth Beaten In Canning) মারধরের অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ে। যুবকের মাথা মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বাড়ির সামনে মদ্যপান করার প্রতিবাদ করেছিলেন রাজেশ সর্দার। পরিবারের দাবি, তাঁরই মাশুল গুনতে হল। বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় রাজেশকে। তাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অতীতেও বাড়ির সামনে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় তাঁকে জলে ডুবিয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন রাজেশের পরিবারের সদস্যরা। আপাতত ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জখম যুবককে। ক্যানিং থানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। কার্যত একই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল পাটুলিতে। সেটি গত বছরের ঘটনা।


পাটুলিতেও এক ঘটনা...
গত বছর অক্টোবরে খাস কলকাতার বুকে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠায় হকচকিয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। সে বার বাড়ির সামনে মদের আসর বসানোর প্রতিবাদ করায় পাটুলিতে এক দম্পতিকে মারধর এবং খুনের হুমকির অভিযোগ ওঠে। প্রথমে, ইঁট মেরে দরজার কাচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। তাতে আটক হয় মূল অভিযুক্ত। দম্পতির দাবি, ঘটনার দিন বাড়ির সামনে বসে মদ্যপান করছিল অভিযুক্তরা। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তি গালিগালাজ ও অভব্য আচরণ করছিল বলে দাবি। সেই সময় তার প্রতিবাদ করেন গৃহকর্তা। তখনই অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আক্রান্তের স্ত্রী প্রতিবাদ করলে রেহাই পাননি তিনিও। কটূক্তি করা হয় তাঁকে, এমনই দাবি। অভিযোগ করলে এলাকা ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি। পাটুলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কার্যত একই দিনে, কালীপুজোর মণ্ডপ ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায়, আক্রান্ত হয়েছিলে এক দম্পতি। গভীর রাতে সেই ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার রতুয়ার পশ্চিম রুকুন্দিপুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর মেলে, আক্রান্ত দম্পতি বাড়ির পাশেই কালীপুজো করেন। অভিযোগ, সেই পুজোমণ্ডপেই ভাঙচুর করেছিল একদল মত্ত দুষ্কৃতী। বাধা দেওয়ায় দম্পতিকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত দম্পতিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ৭ জনের বিরুদ্ধে রতুয়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিল।


তবে চলতি বছরের মে মাসে খাস কলকাতায় যে ঘটনাটি ঘটে, তাতে আতঙ্কিত অনেকেই। ওই ঘটনায় ঝামাপুকুর পার্কে বাড়ির কাছেই মত্ত যুবকদের হাতে প্রহৃত হন যুব তৃণমূল নেতা। খোদ শাসকদলের নেতা আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। হামলার পিছনে রাজনৈতিক যোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়দের প্রশ্ন ছিল, যদি যুব তৃণমূল নেতারই এই হাল হয়ে থাকে, তা হলে বাকিদের নিরাপত্তা কোথায়?


আরও পড়ুন:হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যান্ত্রিক ত্রুটি, তুমুল বিক্ষোভে অন্য ট্রেনে যাত্রীদের নিয়ে যাত্রা