সুনীত হালদার, হাওড়া: ফের পথ দুর্ঘটনা কাড়ল প্রাণ (Accident Death)। মৃত্যু হল এক তরুণের (Youth Dies)। মৃতের নাম বিশাল ধাড়া, বয়স ১৯ বছর। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া হাসপাতালে (Howrah Hospital)। তাঁর নাম কার্তিক মালিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ২০ বছর। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ডোমজুড়ের (Domjur) নিবড়া ব্রিজ ঘটনাটি ঘটে।


কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, গড়ফা থেকে বাইকে করে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই দুই তরুণ। পিছন থেকে কোনও একটি গাড়ি তাঁদের বাইকে ধাক্কা মারে। তাতেই এই মর্মান্তিক পরিণতি। তবে এখনও সেই গাড়ির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, গাড়ির ধাক্কায় বাইকটি ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে যাওয়ায় মারা যান বিশাল। ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ দুজনকেই উদ্ধার করে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জখম দ্বিতীয় তরুণ আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধরনের দুর্ঘটনা রাজ্যে নতুন নয়। উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক পরিণতির খবর উঠে আসে। তার পরও কি যথেষ্ট সতর্ক নয় প্রশাসন? কোথায় গাফিলতি থাকছে যাত্রীদের? 

দুর্ঘটনা বার বার...
ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকেই বেসরকারি বাস ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন অন্তত ২০ জন। হেমতাবাদ থানার বাঙ্গালবাড়ি মোড় এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। জখমদের রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। বাস ও লরি, দুটিরই চালক পলাতক। তবে সে বার অন্তত বিপদগ্রস্ত যানদুটি আটক করে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ওই ঘটনার দিনতিনেক আগেই ধূপগুড়িতে এশিয়ান হাইওয়ের ওপর পণ্যবোঝাই দুটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়লা বোঝাই একটি লরি। জখম চালক ও খালাসিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধূপগুড়ির গিলান্ডি ব্রিজ লাগোয়া এশিয়ান হাইওয়ের উপর কয়লা বোঝাই লরির সঙ্গে পেঁয়াজ বোঝাই একটি লরির সংঘর্ষে আগুন লাগে কয়লা বোঝাই লরিটিতে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভয়ঙ্কর ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ এশিয়ান হাইওয়েতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আবার জানুয়ারি মাসের শেষ দিনে মালদা থেকে গাজোল যাওয়ার পথে পাণ্ডুয়ার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি যাত্রীবোঝাই বাস। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল দুজনের। আহতদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বস্তুত এরকম ঘটনার তালিকা অসংখ্য। তার পরও যেন কোনও হেলদোল নেই যাত্রী বা প্রশাসন কারও তরফেই।


আরও পড়ুন:নদিয়ায় ফের উড়ল লাল নিশান, ৬৭-৫ ব্যবধানে তৃণমূল হারল তেহট্ট সমবায় নির্বাচনে