অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি কেবল গবেষণা বা বইভিত্তিক শিক্ষার জায়গা নয়, এই প্রতিষ্ঠান আমাদের সামাজিক, প্রযুক্তিগত ও বৌদ্ধিক বিকাশের এক শক্তিশালী প্রাণকেন্দ্র। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি শক্তিশালী ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে, যা বিভিন্ন বিভাগে উদ্ভাবন, নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমাজমুখী আবিষ্কারগুলিকে উৎসাহ দেয়।

Continues below advertisement

সেরা গবেষণার প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এই প্রতিষ্ঠানে 

অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্য়াকাডেমিক ডিএনএতে গভীরভাবে জুড়ে রয়েছে গবেষণার স্থান। স্নাতক থেকে ডক্টরেট স্তর পর্যন্ত, শিক্ষার্থীরা এখানে জটিল চিন্তাভাবনা ও অনুসন্ধান-ভিত্তিক

Continues below advertisement

শিক্ষা পেয়ে থাকে। এই ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মধ্যে অনেকেই নিজ নিজ বিষয়ে পণ্ডিত ব্যক্তি। এরাঁ বাস্তব জীবনের প্রোজেক্টে শিক্ষার্থীদের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্রিয়ভাবে গাইড করে।

এখানে পুরো ইউনিভার্সিটিতে সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যানিটিজ, ল ও বিজনেসের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ, গবেষণাপত্র প্রকাশ করতে সাহায্য করা হয়। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কেন্দ্রগুলি শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনে উৎসাহিত করে

গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি বেশ কয়েকটি বিশেষ উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি করেছে। বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সে অত্যাধুনিক গবেষণার জন্য সুভাষ মুখোপাধ্যায় স্টেম সেল বায়োলজি অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিন সেন্টার (SMC-SCBRM) হল রয়েছে এখানে। যা বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সে নিবেদিত একটি অগ্রণী উদ্যোগ। এই কেন্দ্রটি ভারতের IVF পথিকৃৎ ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ঐতিহ্যকে উৎসর্গ করে তৈরি করা হয়েছে। যা উন্নত স্টেম সেল গবেষণা, রিজেনারেটিভ থেরাপি ও ট্রান্সলেশনাল চিকিৎসা পদ্ধতির উদ্ভাবনে কাজ করে।

ভারত সরকারের বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্স

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাউন্সিল (BIRAC) সমর্থিত E-YUVA গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে, যা তরুণ গবেষকদের বায়োটেকনোলজি ভিত্তিক উদ্যোগ নিতে উৎসাহ দেয়। অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষক ও বায়োটেকনোলজিক্যাল উদ্যোক্তাদের কাজরে জন্য অনুদান, উদ্যোগমুখী সাহায্য় ও পরামর্শ দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ব্যাপী গবেষণার মূলে রয়েছে সেন্ট্রাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেল (CRDC)। এই কেন্দ্রটি প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা কৌশল সমন্বয় করে ফ্য়াকাল্টিদের ফান্ডেড প্রোজক্টকে সুরক্ষিত করতে ও পেটেন্ট ফাইলিংয়ে সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও বহিরাগত সংস্থাগুলির মধ্যে আন্তঃবিষয়ক গবেষণার প্রচারে উৎসাহ দেয় প্রতিষ্ঠান। 

পরিকাঠামো ও আন্তর্জাতিক গবেষণার আঙিনায় সুযোগঅত্যাধুনিক পরীক্ষাগার, ডিজিটাল লাইব্রেরি, উদ্ভাবন কেন্দ্র ও উচ্চ-কার্যক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার দিয়ে সজ্জিত অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি গবেষকদের বড় গবেষণার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও পরিবেশ দিয়ে থাকে। এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলে। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যৌথ গবেষণা, ফ্যাকাল্টি বিনিময় ও যৌথ প্রকাশনার সুবিধা পায়।

অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটিতে অ্য়াকাডেমিক নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য নিয়মিত ওয়ার্কশপ, কনক্লেভ ও পেপার প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়, যা ছাত্র-ছাত্রীদের মনে গবেষণা-ভিত্তিক মানসিকতা গড়ে তোলে।

গবেষণার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ গঠনঅ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি গবেষক শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে প্রতিষ্ঠান স্কলারদের উদ্ভাবক, সমস্যা সমাধানকারী ও চিন্তাশীল লিডার তৈরি হওয়ার শিক্ষা দেয়। ল্যাব, ফিল্ড অথবা পলিসির ক্ষেত্রে অ্যাডামাসের গবেষণা মানেই উদ্দেশ্য ও আবেগের বাস্তবায়ন। অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যেখানে গবেষণা উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করে ও আবিষ্কার ভবিষ্যৎকে প্রজ্জ্বলিত করে। 

 


Education Loan Information:

Calculate Education Loan EMI