নয়া দিল্লি: বৌদ্ধ ভিক্ষুদের যৌন সম্পর্কের জন্য প্রলুব্ধ করে এবং তারপর অর্থের জন্য ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে হ্যানিট্র্যাপের কেলেঙ্কারির পর্দাফাঁস।
মূল অভিযোগ উঠেছে উইলাওয়ান এমসাওয়াত নামে ৩০ বছরের এক মহিলার বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, মিসেস গলফ নামে থাইল্যান্ডের এক মহিলা মঠের মধ্যে অন্তত ৯ জন ভিক্ষুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন। সেই সময় গোটা ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করেন মহিলা। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আনার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করেন।
এই মামলাটি জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, কারণ এতে ভিক্ষুদের ব্রহ্মচর্যের ব্রত ভঙ্গের ঘটনা জড়িত। রয়েল থাই পুলিশ সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো জানিয়েছে, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত কমপক্ষে নয়জন। অন্যদিকে, ব্যাঙ্ককের উত্তরে বিলাসবহুল বাড়ি থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মহিলা একাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুর সঙ্গে এই কাজ করে অন্তত ৩৮৫ মিলিয়ন ভাট (ভারতীয় মুদ্রায় ১০১ কোটি টাকা) আদায় করেছেন বলে অভিযোগ।
তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশিরভাগ টাকাই এসেছে মন্দিরের দানবাক্স কিংবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। এভাবে মঠ তহবিলে দান হিসেবে আসা প্রায় এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় মহিলাকে। বিষয়টি জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে তদন্ত। গোটা ঘটনায় মুখ খুলেছেন এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে থাকা মহিলা মিসেস গলফ। তিনি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি সন্ন্যাসীদের দেওয়া অর্থে প্রতিদিন ৯০ হাজার ডলার পর্যন্ত কেনাকাটা করেছেন। স্কুল-হাসপাতালেও দান করেছেন।
থাইল্যান্ডের রাজা তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের আমন্ত্রণ বাতিল করেছেন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এই অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতি একেবারেই কাম্য নয়। এর ফলে জনগণের আস্থায় আঘাত লাগবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় বৌদ্ধমঠের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত সকল ভিক্ষুকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে যে, জুনের মাঝামাঝি সময়ে ব্যাঙ্কককের একজন মঠশিল্পী হঠাৎ করে এক মহিলার ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে ভিক্ষুত্ব ত্যাগ করলে এই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয়।