কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: কলেজে ভর্তির সঙ্কট কি এবার ভয়াবহ আকার ধারন করেছে? আবেদনপত্রের বহর দেখে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কলেজগুলিতে। শহরের ৮টি কলেজে ১১ হাজার আসনের জন্য আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার।
উচ্চমাধ্যমিকে এবার সবাই পাস। সিবিএসই ও আইএসসি- দুই দিল্লি বোর্ডের রেজাল্টেও নম্বরের ছড়াছড়ি। এবার অতিরিক্ত ২ লক্ষ পড়ুয়া পাস করেছেন উচ্চমাধ্যমিকে। তারই কি প্রভাব পড়তে চলেছে কলেজে ভর্তিতে?
শুক্রবার ছিল স্নাতক স্তরে ভর্তিতে আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আবেদনপত্রের বহর দেখে প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন কলেজ কর্তৃপক্ষ। শহরের নানা মানের ৮ টি কলেজে আসন সংখ্যা ১১ হাজার ৪২। আবেদন পড়েছে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ও বিজ্ঞানে আসন সংখ্যা ১ হাজার। আবেদন জমা পড়েছে ৫৫ হাজার। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা ৬৬৫। আবেদনকারী ৫৮ হাজার। ৬০০ আসনের লেবি ব্রেবোর্ন কলেজে আবেদন জমা পড়েছে ৩১ হাজার। ১ হাজার আসনের জন্য ৪০ হাজার ৫০০ জন আবেদন করেছেন মৌলানা আজাদ কলেজে। ২ হাজার ৭৭৫টি আসন আশুতোষ কলেজে। আবেদনকারী ৫৬ হাজার ৭৩০। ৮০২টি আসনের জন্য স্কটিশ চার্চ কলেজে আবেদন করেছেন ৫৮ হাজার ৮২০ জন। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজ আসন ১ হাজার ৭৫০টি। আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১৪ হাজার ৯০০টি। সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ২ হাজার ৪৫০টি আসনে আবেদনকারী ৫২ হাজার ৮০০।
কোথাও আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ গুণ। ভর্তি নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অধ্যক্ষ শিউলি সরকার জানিয়েছেন, গতবারের থেকে ১২ হাজার আবেদনকারী বেড়েছে ।আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন, সিট না বাড়ালে ভয়ঙ্কর সমস্যা হবে..... ৩ গুণ আবেদন বেড়েছে। সমাধান না করলে সমস্যা হবে।
মাধ্যমিকে সবাই পাস করায় আসন বেড়েছে একাদশে। ৩১ অগাষ্টের মধ্যে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। তখনই স্পষ্ট হবে এই সংকটের গভীরতা। কলেজগুলির দাবি, আসন না বাড়ালে সংকটমুক্তি অসম্ভব।
সংকটের এই মুহূর্তে খুশির খবর দিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোক্তর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন স্নাতকস্তরে সিমেস্টারের অ্যাডমিশন ফি, টিউশন ফি ও এক্সামিনেশন ফি মকুব করেছে কর্তৃপক্ষ।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI