উত্তরাখণ্ড: ঐতিহ্যবাহী জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার মিশ্রণের লক্ষ্যে উত্তরাখণ্ড সরকার সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়গুলিতে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা শ্লোক দৈনিক পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অবিলম্বে রাজ্যজুড়ে শিক্ষার্থীরা সকালের প্রার্থনার (Uttarakhand Schools) সময় গীতার একটি শ্লোক দিয়ে তাদের দিন (Gita Shlokas) শুরু করবে। মাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালক ড. মুকুল কুমার সতী এই নির্দেশনা জারি করেছেন, যেখানে সকল প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তাকে এই উদ্যোগ বাস্তুবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশ অনুসারে, প্রতিদিন একটি করে গীতাশ্লোক পাঠ করা হবে। আর এর সঙ্গে পাঠের পরে সেই শ্লোকের ব্যাখ্যা এবং বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক (Gita Shlokas) তাৎপর্য বোঝানো হবে পড়ুয়াদের। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি সপ্তাহের পাঠ্য শ্লোক নির্বাচন করতে হবে এবং স্কুলের নোটিশ বোর্ডে প্রকৃত অর্থ ও ব্যাখ্যা সহ লিখে রাখতে হবে। পড়ুয়াদের নিয়মিত আবৃত্তি করতে উৎসাহিত করতে হবে। সপ্তাহের শেষে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে শ্লোকটি নিয়ে আলোচনা করবে এবং তাদের মতামত ভাগ করে নেবে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল মূল্যবোধ ভিত্তিক শিক্ষার মডেল প্রচার করা এবং একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক, মানসিক এবং নৈতিক বিকাশকে লালন করা। উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধনসিং রাওয়াত আরও বলেন যে এটি স্কুল পাঠ্যক্রমে ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মহাকাব্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এনসিআরটিকে ১৭ হাজার সরকারি স্কুলের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্তির জন্য ভগবদ গীতা এবং রামায়ণ থেকে বিষয়বস্তু প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না এটি কার্যকর হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত উভয় গ্রন্থের শ্লোকই প্রতিদিন স্কুলের প্রার্থনায় পাঠ করা হবে।
এই প্রসঙ্গে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘ভগবদ গীতার শ্লোক শিশুদের মধ্যে কর্তব্য এবং ন্যায়সঙ্গত কর্মের বৈদিক ধারণা জাগিয়ে তুলবে। তাদের সঠিক পথ দেখাবে। এই ধর্মগ্রন্থগুলি উন্নত চরিত্র গঠনে সহায়তা করবে আর তাদের আধ্যাত্মিকতার শক্তি বুঝতে সহায়তা করবে।’ সরকারি আধিকারিকদের মতে এই উদ্যোগ জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-এর উদ্দেশ্যের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI